আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অনেকেই হয়তো শুন থাকবেন প্রাচীন মিসরের ফারাও সম্রাট তুতানখামেন ও রূপসী রানি নেফারতিতির কথা। কিন্তু অবাক হবেন জেনে যে, কিশোর রাজা তুতানখামেনের সমাধিতে রানি নেফারতিতিকে খোঁজা হচ্ছে। তবে এই খবরে বিস্ময়কর হলেও ঘটনা কিন্তু সত্য।
অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রিটিশ পুরাতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ ড. নিকোলাস রিভসের দাবি, তুতানখামেনের সঙ্গেই আসলে কবর দেওয়া হয়েছে রানি নেফারতিতিকে।
তিনি জানান, রাডার ও থারমাল ইমেজিং পদ্ধতি ব্যবহার করে তুতানখামেনের সমাধির দেয়াল পরীক্ষা করে দেখেছেন। ওই সমাধি সৌধের দেয়ালের ভেতরে দুটি গোপন চেম্বারের ভেতরেই মিলতে পারে রানি নেফারতিতির মমির সন্ধান।
ড. রিভসের কথা মতো মিসরীয় কর্তৃপক্ষও তুতানখামেনের সমাধিতে আধুনিক রাডার ও যন্ত্রপাতি নিয়ে আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে অনুসন্ধান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
খ্রিস্টের জন্মের আগে ১৪ শতকে রানি নেফারতিতি ছিলেন ফারাও সম্রাট এখনাটনের স্ত্রী। তবে তিনি আসলে কোথায় অবস্থান করছিলেন তা প্রাচীন মিসর তত্ত্বের অন্যতম রহস্যময় বিষয়গুলোর একটি।
মাত্র ১৫ বছর বয়সে নেফারতিতি বিয়ে করেন চতুর্থ অ্যামেনোফিস বা ফারাও অ্যামেনহোটেপকে। যিনি খ্রিস্টপূর্ব ১৩৫৩ অব্দে ফারাও সম্রাট হিসেবে মিসরের সিংহাসনে বসেন এবং নিজের নাম পাল্টে রাখেন এখনাটন।
ধারণা করা হয়, মাত্র ১৯ বছর বয়সে ফারাও সম্রাট হিসেবে ক্ষমতায় বসা তুতানখামেন ছিলেন নেফারতিতির সন্তান। ১৯২২ সালে প্রথম তুতানখামেনের বিখ্যাত সমাধি আবিষ্কার করেন ব্রিটিশ পুরাতত্ত্ববিদ হ্যাওয়ার্ড কার্টার।
বিশেষজ্ঞরা নেফারতিতির জন্ম এবং তার নিজ দেশটি আসলে কোনটি এ ব্যাপারে খানিকটা দ্বিধাবিভক্ত। জন্ম বা বংশ বৃত্তান্ত যাই থাক তিনি যে সুন্দরি হিসেবে কিংবদন্তি ছিলেন তাতে কারো দ্বিমত নেই।
রাজ্যশাসনে ফারাওয়ের পাশাপাশি নেফারতিতিও সমানতালে কাজ করেছেন। ফারাওয়ের পাশাপাশি তাকেও তৎকালীন সময়ে মিসরে শ্রদ্ধা করা হতো। সূত্র: স্কাই নিউজ, বিবিসি
০৩ অক্টোবর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস