আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্ত্রী সুন্দরী। তাই আত্মীয়স্বজন, পাড়া, প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব সবার একটু বেশি নজর টানতেন তিনি। প্রশংসাও চলত। স্ত্রীর এই সৌন্দর্যের ফলেই হীনমন্যতায় ভুগতে শুরু করে স্বামী। সবসময়ে সৌন্দর্যের জন্য স্ত্রীকে কথা শোনাত সে। মাঝেমধ্যে স্ত্রীকে ব্যঙ্গও করত। পরিস্থিতি এমন পর্যায় পৌঁছেছিল যে রেখা লোধি নামে ৩০ বছর বয়সি মহিলা নিজের মুখের একাংশ পুড়িয়ে দিলেন। ভারতের উত্তরপ্রদেশের পিলভিটে এই ঘটনা ঘটেছে।
নির্মল কুমার নামে ওই মহিলার স্বামী মাঝেমধ্যেই নিজের স্ত্রীকে ঘরে বন্দি করে রাখত। কারণ, সৌন্দর্যের জন্য তার বন্ধুবান্ধবের একটু বেশি নজর টানতেন রেখা। যা মোটেই পছন্দ ছিল না নির্মলের। স্ত্রীকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করে সে। শুধু তাই নয়, যে শ্বশুরমশাইকে নিজের বাবার মতো দেখতেন, সে রেখার বিরুদ্ধে ছেলের কান ভারী করতে শুরু করেছিল। ফলে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকের আচরণে আরও হতাশ হয়ে পড়েন রেখা। শেষ পর্যন্ত নিজের মুখ পুড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ওই গৃহবধূ।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রেখার শরীরের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। জীবনসংশয়ের আশঙ্কা না থাকলেও রেখার শরীরের অধিকাংশই সারা জীবনের মতো বিকৃত হয়ে গিয়েছে। এত কাণ্ড ঘটে যাওয়ার পরেও অবশ্য নিজের স্বামী অথবা শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি রেখা। কিন্তু রেখার মা চান, মেয়ের উপরে মানসিক নির্যাতনের জন্য নির্মল এবং তাঁর বাড়ির লোকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। -এবেলা
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম