আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘স্ত্রীর সঙ্গে রোজই ঝামেলা হয় আমার। একপ্রকার তিতিবিরক্ত হয়ে উঠছি। আর পারছিলাম না। তাই বাধ্য হয়ে ডাকাতির পথ বেছে নিয়েছি। যাতে আমি ধরা পড়তে পারি। বাড়ির থেকে জেল আমার কাছে অনেক অনেক বেশি সুখের।
একজন ডাকাতের কাছ থেকে এসব কথা শুনে একপ্রকার তাজ্জব বনে গিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। যাকে কি না ডাকাতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তিনি আসলে স্ত্রীর ভয়ে কারাগারে থাকতে চান!
কাহিনীটা একটু খোলসা করেই বলা যাক। লরেন্স রিপল। ৭০ বছরের লরেন্স স্ত্রীর সঙ্গে থাকেন কানসাসে। স্ত্রীর সঙ্গে নাকি তার নিত্যদিনই ঝগড়া হয়।
সংসারে সুখ বলে কিছুই ছিল না আর কী। স্ত্রীর জ্বালায় তিতিবিরক্ত লরেন্স ফন্দি আঁটেন মুক্তি পাওয়ার। কিন্তু বিচ্ছেদের পথে পা বাড়াননি তিনি। বরং বেছে নেন অভিনব পন্থা।
কানসাসেরই একটি ব্যাঙ্কে ডাকাতির ছক কষেন লরেন্স। ব্যাঙ্কে ঢুকে টেলারকে বলেন, আমার হাতে বন্দুক আছে। সামনাসামনি যা টাকা আছে, সব দিয়ে দাও।
সেই টাকা নেয়ার পর ধাঁ হয়ে যাননি লরেন্স। বরং দাঁড়িয়ে থাকেন। পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশকে তিনি বলেন, আমি আর স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে পারছি না। আমাকে দয়া করে গ্রেপ্তার করুন।
শুনেই হকচকিয়ে যান পুলিশ কর্মকর্তা। কিন্তু কী আর করা যাবে, দোষীদের শাস্তি তো দিতেই হবে। তাই আটক করে গারদেই রাখা হয় লরেন্সকে।
৮ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম