নিউজ ডেস্ক: গত বছরের চাইতে এবারের হজের কার্যক্রম সম্পাদনে সৌদি কর্তৃপক্ষ কঠোর সতর্ককতা অবলম্বন করছে। হজের আনুষ্ঠানিকতার স্থানগুলোতে নজিরবিহীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পবিত্র হজ পালনের জন্য সমগ্র বিশ্ব থেকে আগত ১৩ লক্ষাধিক হাজি ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করে নিরাপত্তা বেষ্টনি অতিক্রম করে মক্কা থেকে মিনা দিকে যাত্রার মধ্যদিয়ে এবারের হজের ৫ দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।
সৌদি আরবের বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, ১৫০টিরও অধিক দেশ থেকে প্রায় সোয়া ১৩ লাখ মুসলমান হজে অংশ নিয়েছেন।
সৌদি আরবে আজ ৮ জিলহজ; পবিত্র হজে অংশগ্রহণকারী সকল হাজি আজ জোহর থেকে আগামীকাল ৯ জিলহজ ফজর পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মিনায় আদায় করবেন এবং তাঁবুর শহর খ্যাত মিনায় রাত্রি যাপন করবেন। যদিও যানজট ও ভিড় এড়াতে গতকাল শুক্রবার থেকেই বাইতুল্লায় জুমআর নামাজ আদায় করে অনেকেই মিনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গেছেন।
আগামীকাল ৯ জিলহজ রোববার সকল হাজি মিনায় ফজর নামাজ আদায় করবেন। মিনায় অবস্থানরত হাজিগণ ৯ জিলহজ রোববার ফজর নামাজের পর হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা তথা মূলকাজ সম্পাদনে আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন।
সৌদি হজ কর্তৃপক্ষ এবার হজ উপলক্ষে পবিত্র নগরী মক্কা এবং মদিনায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য আলাদা আলাদা ফোর্স গঠন করেছেন। হজের বিভিন্ন দায়িত্ব পালনে নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি ৪৫ হাজারের স্কাউট সদস্য নিযুক্ত করেছেন।
বিশেষ করে মিনায় শয়তানকে কংকর নিক্ষেপের সময় পূর্ব থেকেই নির্ধারণ করে দিয়েছেন, যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। সৌদি হজ কর্তৃপক্ষ সময় নির্ধারণের সাথে সাথে হাজিদের ভাগ ভাগ করে সেখানে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন।
এমনিতেই মিনা তাঁবুর শহর হিসেবে বিখ্যাত। হাজিরা শয়তানকে কংকর নিক্ষেপে এখানে তিনদিন অবস্থান করবেন। এখানেই হাজিগণ তাঁবুতে অবস্থান করবেন। এ তাবুগুলোতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস, নামাজ, বিশ্রামের জায়গা, চিকিৎসা সেবা ও পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধাসহ মানুষের জীবন-ধারণে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে।
১০ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর