আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীর নাক কামড়ে দেয়ায় কমলেশের বাড়ির লোকেরা অভিযুক্ত সঞ্জীবের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগও দায়ের করেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত স্বামীর খোঁজ পায়নি পুলিশ।
সুর্পনাখাকে শাস্তি দিতে তার নাক কেটে দিয়েছিলেন লক্ষ্মণ। বাস্তবে সন্দেহের বশে স্ত্রীকে একই শাস্তি দিল স্বামী।
স্বামীর সন্দেহ ছিল, স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। শাস্তি হিসেবে তার মুখকে বিকৃত করে দিতে হবে। তা করতে গিয়ে স্ত্রীর নাক কামড়ে খুবলে নিল স্বামী। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে।
একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, স্ত্রী কমলেশকে বেশকিছু দিন ধরেই সন্দেহ করতে শুরু করেছিলেন তার স্বামী সঞ্জীব রাঠোর।
সেই সন্দেহ থেকেই বুধবার এ কাণ্ড ঘটান অভিযুক্ত সঞ্জীব। প্রতিবেশীদের বয়ান অনুযায়ী, ঘটনার দিন সকালে কারো সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন কমলেশ।
স্ত্রীকে ফোনে কথা বলতে দেখেই তার সঙ্গে বচসা শুরু করে স্বামী। অভিযোগ, সেই সময়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় ছিল। কথা কাটাকাটির মধ্যেই আচমকা স্ত্রীর নাক কামড়ে দেয় সঞ্জীব।
সাত বছর আগে সঞ্জীবের সঙ্গে কমলেশের বিয়ে হয়। তাদের একটি ছয় বছরের সন্তানও রয়েছে। কমলেশের বাড়ির লোকেরা অভিযুক্ত সঞ্জীবের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগও দায়ের করেছে। অভিযুক্ত স্বামীকে খুঁজছে পুলিশ।
১৫ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম