আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউরোপীয় ইউনিয়ন ঘোষিত কোটা অনুযায়ী ১ লাখ ৬০ হাজার অভিবাসন-প্রত্যাশীকে ভাগ করে নেবে ইইউ দেশগুলো। এ সিদ্ধান্ত না মানলে জরিমানার হুমকি দিয়েছে ইইউ।
কয়েকটি দেশ এ পরিকল্পনার বিরোধিতা করে আসছে। ডেনমার্কের বাধার কারণে প্রায় ২শ’ সিরিয়ান শরণার্থী সুইডেন যেতে পারছে না। শরণার্থীদের ঠেকাতে জার্মানির সঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে ডেনমার্ক।
ইইউ-এর বেধে দেয়া কোটা অনুযায়ী সবচে’ বেশি শরণার্থী গ্রহণ করবে জার্মানি। প্রায় ৪০ হাজার শরণার্থী গ্রহণ করবে দেশটি। এরপর স্পেন ও ফ্রান্স ১৫ হাজারের মতো শরণার্থী নেবে।
বুধবার ইইউ কমিশনের প্রধান জ্যা ক্লদ জাঙ্কার বাধ্যতামূলক কোটার প্রস্তাব তুলে ধরেন। যেসব দেশ এ সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না তাদের জরিমানা করা হবে। এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
ইইউ-এর এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে চেক প্রজাতন্ত্র, স্নোভাকিয়া, পোল্যান্ড এবং রোমানিয়া। পোলিশ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তারা দুই হাজার শরণার্থী গ্রহণ করতে পারবেন।
ইইউ’র বেধে দেয়া কোটা অনুযায়ী শরণার্থীদের গ্রহণ করতে শুরু করেছে বেশকিছু দেশ।
ইউরোপের পথে এখনো শরণার্থীদের ঢল। গ্রিস থেকে হাজার হাজার শরণার্থী পশ্চিম ইউরোপে যেতে মেসিডোনিয়ায় থেকে বাস, ট্রেন ও ট্যাক্সিতে সার্বিয়া সীমান্তের দিকে ছুটছে।
সিরিয়ার রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ঘোষণার পরই সুইডেনের দিকে যাচ্ছে শরণার্থীরা।
কিন্তু শরণার্থীদের সুইডেনে যেতে বাধা দিচ্ছে ডেনমার্ক। এরই মধ্যে জার্মানির সঙ্গে রেল ও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। ট্রেন না পেয়ে শরণার্থীরা পায়ে হেঁটেই রওনা দিয়েছে।
১০ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম