আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে কাশ্মীরের ‘অত্যাচার’-এর কাহিনী তুলে ধরবেন নওয়াজ শরিফ। এই আশাতেই ছিল পাকিস্তান। এমনকি সেদিকে থেকে দৃষ্টি এড়াতেই নাকি উরি ভারতই এই হামলা সাজিয়েছে, এমন তত্ত্বও দাঁড় করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু সোমবার জাতিসংঘে তেমন আশাপ্রদ কিছুই করতে পারলেন না শরিফ। বিশেষ করে আমেরিকা আর ব্রিটেনের কাছ থেকে কোনো সাড়াই পাননি তিনি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ও মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জন কেরির সঙ্গে দেখা করেও তিনি তুলে ধরেন কাশ্মীর প্রসঙ্গ।
কিন্তু এত কিছুর পরেও, আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় বিশেষ পাত্তা পেলেন না নওয়াজ শরিফ। ওই দুই বৈঠকে কী হয়েছে, তার এখনো কোনো লিখিত বিবৃতি আসেনি। কিন্তু পাক সংবাদমাধ্যমেই প্রকাশিত হয়েছে সেই খবর। রেডিও পাকিস্তান জানিয়েছে, কেরির সঙ্গে বৈঠকে শরিফ বলেন, এখনো পর্যন্ত কাশ্মীরে ১০৭জনের মৃত্যু হয়েছে, কয়েকশো মানুষ আহত হয়েছেন। রাষ্ট্রীয় ‘সন্ত্রাস’-এর কারণে মানবাধিকার লঙ্ঘন সেখানে প্রতিদিনের ঘটনা। জবাবে জন কেরি শুধু সন্ত্রাসবাদ ও কট্টরপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। কাশ্মীর বা ভারত নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি তিনি।
একই ঘটনা ঘটেছে থেরেসা মে-র সঙ্গে বৈঠকেও। শরিফের শত চেষ্টার পরেও মে শুধু আর্থিক স্থিতাবস্থা আনতে ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাক প্রচেষ্টাকে অভিনন্দন জানান। ব্রিটেনবাসী পাকিস্তানিদের সদর্থক ভূমিকারও প্রশংসা করেন। কিন্তু কাশ্মীর প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী।
ভারতীয় কূটনীতিকদের মতে, পাক সেনা আশ্বস্ত করতেই এতটা উদ্যোগ নিয়েছিলেন শরিফ। কিন্তু, সেই প্রচেষ্টায় ব্যর্থ তিনি। অন্যদিকে, ভারত জাতিসংঘে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। সন্ত্রাস বন্ধ করার পাশাপাশি, অধিকৃত কাশ্মীর ফেরৎ দেয়ার দাবিও জানানো হয়েছে।-কলকাতা২৪
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/শান্ত/মো:শাই