বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৪:০৩:৫০

ভারতের সঙ্গে বেশি ঘেঁষাঘেঁষি করলে ফল ভালো হবে না, নেপালকে হুঁশিয়ার করল চীন

ভারতের সঙ্গে বেশি ঘেঁষাঘেঁষি করলে ফল ভালো হবে না, নেপালকে হুঁশিয়ার করল চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের সঙ্গে বেশি ঘেঁষাঘেঁষি করলে ফল ভালো হবে না। নেপালের মাওপন্থী প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড-র প্রতি প্রচ্ছন্ন হুমকি কমিউনিস্ট চীনের। প্রচণ্ডর ভারত সফরের পরই চিনের সরকারি সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমসে এই মর্মে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে। দরকার পড়লে আগামী দিনে চীন-নেপাল সম্পর্কে রাশ টেনে ধরা হতে পারে বলেও নেপালকে সতর্ক করে দিয়েছে জি জিনপিং নেতৃত্ব।

সম্প্রতি চার দিনের জন্য ভারতে সফরে আসেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড। এরপর দেশে ফিরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ তাঁর মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। প্রচণ্ড বলেন, ভারত সরকার যেভাবে তাঁকে আপ্যায়ন করেছে তাতে তিনি মুগ্ধ। আগামীদিনে ভারতের সঙ্গে নেপালের বাণিজ্য সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই নেপালের প্রধানমন্ত্রীর এহেন মনোভাব ভালো চোখে দেখছে না চীন।

উলটে তাদের হুমকি, ভারতের প্রতি নেপাল বেশি খাতির দেখালে তাতে আগামী দিনে ফল খুব ভালো হবে না। ভবিষ্যতে এর ‘মূল্য চোকাতে’ হতে পারে নেপাল সরকারকে।

কয়েক বছর আগে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সড়ক নির্মাণের জন্য চিনের সঙ্গে ‘ব্রিক অ্যান্ড রোড’ নামে একটি চুক্তি সই করে নেপাল৷ সেই চুক্তি অনুযায়ী নেপাল সরকারকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেয় চিন৷ সেই সময় নেপালের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কেপি ওলি ৷ গ্লোবাল টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সেই চুক্তির প্রসঙ্গটিও টেনে আনা হয়েছে৷ নেপাল ভারতের বেশি ঘনিষ্ঠ হলে ‘ব্রিক অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পটি আটকে যেতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

কূটনৈতিক মহলের ধারণা, মাঝে মাধেশি আন্দোলন সহ বিভিন্ন ইস্যুতে নেপালের অভ্যন্তরীণ অবস্থা টালমাটাল হয়ে ওঠে৷ সেই সময় দিল্লির সঙ্গে কাঠমাণ্ডুর একটা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়৷ তখন ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্কে অবনতির সুযোগ নিয়েছিল কমিউনিস্ট চিন। প্রচণ্ড আবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ভারত-নেপাল উভয় দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি অনেকটাই কেটেছে।

বরফ গলেছে ভারত-নেপাল সম্পর্কে৷ আর এতেই বেজিংয়ের কপালে আরও বেশি চিন্তার ভাঁজ৷ তাদের রাগ আরও বেশি এ কারণেই যে, একটা সময়ে নেপালে প্রচণ্ড-র উত্থানের পিছনে চিনের একটা বড় ভূমিকা ছিল৷ আর আজ সেই প্রচণ্ডই ক্ষমতায় ফিরে ভারতের সঙ্গে সখ্যতা বাড়াচ্ছেন৷ দুই স্বাভাবিক প্রতিবেশীর মধ্যে সুসম্পর্ক ফিরছে৷ চিনের রাগ, মাওপন্থী প্রচণ্ড সেদেশের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে ফিরলেও নেপাল ক্রমেই বেজিংয়ের মুঠোর বাইরে চলে যাচ্ছে।

গ্লোবাল টাইমসের ওই প্রতিবেদনে অভিমানভরে এও বলা হয়েছে যে, ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক নিয়ে চিনের কিছু যায়-আসে না৷ তবে চিন-নেপাল সম্পর্কের বিস্তারে ভারত যখনই সুযোগ পেয়েছে বাধা দিয়েছে৷ এখন নেপাল যদি মনে করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে তার লাভ, তাহলে তা-ই করুক। চিন নিজেকে সরিয়ে রাখবে। -কলকাতা২৪
২১সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে