 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: স্ত্রীকে বাপের বাড়ি যেতে দিতে চাননি স্বামী। আর তাই শাস্তি হিসাবে স্বামীকে কামড়ে হত্যা করল স্ত্রী। ভারতের উত্তরপ্রদেশের এই স্বামীহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে।
উত্তরপ্রদেশের এতোয়া জেলার বাসিন্দা অরবিন্দ, তাঁর স্ত্রী গোমতী, দুই সন্তান এবং মা গুলাবিকে নিয়ে থাকতেন। পরিবারে সবই ঠিক ছিল। কিন্তু গোমতী নিজের বাবার বাড়ি যাওয়ার বায়না ধরলে, সেই কথায় রাজি হননি অরবিন্দ। আর বেড়াতে যাওয়ার আর্জি খারিজ হয়ে যাওয়ায় স্বভাবতই বেশ রেগে গিয়েছিল গোমতী। রাগের বশে প্রথমে ঝগড়া, পরে ধাক্কাধাক্কি এবং শেষটায় স্বামীর গলা, কাঁধ এবং পেটে কামড়ে দেয় সে। আর স্ত্রীর কামড়ে ঘোরতর জখম হয়ে মৃত্যু হয় অরবিন্দের।
প্রতিবেশীরা এবং অরবিন্দের মা গুলাবি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বেড়াতে যাওয়াকে কেন্দ্র করেই অরবিন্দ এবং গোমতীর মধ্যে বচসা বাধে। সেই বচসা একটা সময় ভয়ানক আকার ধারণ করে। অরবিন্দ এবং গোমতী ঘরের দরজা বন্ধ করেই ঝগড়া করতে থাকে। প্রতিবেশীরা কিংবা গুলাবি- কেউই তাঁদের মধ্যে গিয়ে সমস্যা মেটাতে পারেননি। এরপর গুলাবি লোকজন নিয়ে ঘরের দরজা ভাঙলে ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন। গুরুতর জখম অবস্থায় অরবিন্দকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অতিরিক্ত রক্তপাতের ফলেই এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে।
এই ঘটনার পরেই নিজের সন্তানদের নিয়ে ফেরার হয়েছে গোমতী। তার সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ। স্বামীকে হত্যা করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে সেকশন ৩০৪ ধারায় খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। -সংবাদ প্রতিদিন।
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম
 
  
                             
                                    
                 
  
                             
                                    
                 
  
                             
                                    
                 
  
                             
                                    
                