রবিবার, ০৪ অক্টোবর, ২০১৫, ০৯:৫৫:৩৬

মাকড়সার কামড়ে মরতে বসেছিলেন এক আইনজীবী!

মাকড়সার কামড়ে মরতে বসেছিলেন এক আইনজীবী!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কোন জঙ্গল, মরুভূমি এমনকী বাড়ির বাগানেও নয়, বিমানের প্রথম শ্রেণির টিকিট কেটে সফর করার সময় মাকড়সার কামড়ে প্রায় জীবন হারাতে বসেছিলেন লন্ডনের এক আইনজীবী। তার নাম জোনাথন হগ। গত জুন মাসে দোহা থেকে কেপ টাউন যাওয়ার পথে কাতার এয়ারওয়েজের বিমানে এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন হগ।

৪০ বছর বয়সি এই আইনজীবী জানান, বিমান ওড়ার ঘণ্টাখানেক বাদে পায়ে একটা সুঁচ ফোঁটানোর মতো ব্যথা অনুভব করেন। প্রায় তখনই ২ জন বিমানসেবিকাকে 'মাকড়সা-মাকড়সা' বলে লাফিয়ে উঠতে দেখেন। তখনও পর্যন্ত কিছুই বোঝেননি জোনাথন। তিনি বলেন, 'ভালো করে দেখার জন্য আমি লাইট জ্বালি। দেখি একটি বড় আকারের মাকড়সা বিমানের মেঝেতে দৌড়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু বুঝতে পারিনি যে সেটার কামড়েই ওই ব্যথা হচ্ছে।'

খানিক বাদেই এর পরিণাম টের পান হগ। বাঁ পা তখন ফুলে ঢোল। সঙ্গে ভীষণ যন্ত্রণা। তিনি মাসল পেইন ভেবে পেইন কিলার ট্যাবলেটও খান। কেপ টাউনে নেমে কোনও ক্রমে গন্তব্যে পৌঁছে সহকর্মীদের ব্যাপারটি দেখান। দেখেই তারা আঁতকে ওঠেন। পায়ের একটা বড় অংশের পেশি ফেটে বেরিয়ে এসেছে। পুঁজ জমে গিয়েছে। তাড়াতাড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিত্‍সকরা পরীক্ষা করে বলেন দ্রুত অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। না হলে জীবন সংশয় হতে পারে। এর পর থেকে তিন তিনটি অস্ত্রোপচার করা হয়ে গিয়েছে। পায়ের একটা বড় অংশ কেটে বাদ দিতে হয়েছে। জোনাথন বলেন, 'যখন ব্যান্ডেজ খোলা হয়েছে, তখন নিজের পা দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল কোনও হরর ফিল্মের ছবি দেখছি।'

চিকিত্‍সকরা জানান, আর কিছু ক্ষণ দেরি হলে পা কেটে বাদ দিতে হত বা জীবন নিয়েও টানাটানি হতে পারত। ঘটনার পর তিন মাস কেটে গিয়েছে। খানিকটা সুস্থ হয়ে হগ এখন কাতার এয়ারওয়েজের বিরুদ্ধে মামলা করছেন। বিমান সংস্থাটি যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও আইনি চিঠি পায়নি বলেই জানিয়েছে। তেব জোনাথনের দাবিটিও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থার এক মুখপাত্র। তবে তিনি এটাও জানিয়েছেন যে, যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি ভীষণ ভাবে নজরে রাখে সংস্থা। ফলে এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই।-এই সময়
০৪ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে