আন্তর্জাতিক ডেস্ক: খ্যাতি পাওয়া বিশ্বের সবছেয়ে দূষিত নগরীর খবর কয়জনই বা রাখেন? কিন্তু একদিন যে নগরী বিশ্বের সবচাইতে দূষিত নগরী হিসেবে পরিচিত ছিল আজ সে নগরী সবাইকে তাক লাগিয়ে স্বচ্ছ নগরীতে পরিণত হয়েছে। তবে আপনি হয়তো ভাবছেন কোন শহরের কথা বলা হচ্ছে? হ্যাঁ, ঠিকই ভাবছেন তা হলো চীনের বেইজিং। বেইজিং যে বিশ্বের সব চাইতে দূষিত শহর, এ নিয়ে কারও দ্বিমত নেই। কিন্তু, সেই অপবাদ আজ অতীত। মাত্র কয়েক দিনে বেইজিং বদলে ফেলেছে নিজেকে। এতটাই বদলেছে, সেদিনের বেইজিংয়ের সঙ্গে আপনি কোন মতেই এদিনের বেইজিংকে মেলাতে পারবেন না।
যেখানে বিশ্বের অনেক শহর দূষণে নাজেহাল, সেখানে বেইজিং-এর পক্ষে এতো অল্পসময়ের মধ্যে এই পরিবর্তন সম্ভব হল কি ভাবে? দূষণ নগরীর তকমা ঝেরে ফেলতে কঠিন হতে হয়েছে বেইজিংকে। ২০ অগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর। হাতেগোনা মাত্র কয়েকটা দিন। যে সমস্ত গাড়ি তীব্র দূষণ ছড়াচ্ছিল, এই ক'দিনে বেছে বেছে তাদের বাতিল করা হয়। দূষণ ঠেকানোয় নজর দেয়নি, এমন কলকারখানাগুলোর বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে।
কড়া হওয়ার ফল, হাতেনাতেই পেয়েছে চিনের রাজধানী শহর। স্বাভাবিক দিনে বেইজিংয়ের আকাশ থাকে ধূসর-রঙা। নীল আকাশ কবে শেষ দেখেছিলেন বেইজিংয়ের বাসিন্দারা, তা কারও স্মরণে নেই। সেই বেইজিংয়ের আকাশ এখন আবার ঝকঝকে নীল, যাকে বলে একেবারে নীল। আগে চারপাশের ধোঁয়াশায় একটু দূর থেকেও বাড়িঘর দেখা যেত না। ঘষা কাচে দেখার মতোই দেখতে হতো। এখন সেই ধোঁয়াশা কেটে স্বচ্ছ চারপাশ।
ভাসমান ধূলিকণা কমেছে ৭৩.২%। যার জন্য দূষণের আন্তর্জাতিক মাপকাঠিতে ৫০০ থেকে ১৭ নেমে এসেছে চিনের রাজধানী শহর। জানা গিয়েছে, দূষণে লাগাম পরাতে আগামী পাঁচ বছরে ২৩০ বিলিয়ন ডলার খরচ করবে চায়না। দূষণ ঠেকাতে বেইজিং শহরে নামানো হচ্ছে ইলেকট্রিক ট্যাক্সি। উলটো দিকে গ্যাসের ব্যবহার কমাতে কর চাপানো হচ্ছে।
১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/