আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিজেদের স্বার্থেই পাকিস্তানের সঙ্গে যু্দ্ধ বাধাবে না ভারত। পাকিস্তানকে গোটা বিশ্বে একঘরে করে দেয়ার যে হুমকি ভারত দিয়েছে তাও ফাঁকা আওয়াজ মাত্র।
উরি হামলার পর ভারতের কড়া জবাবের প্রেক্ষিতে সে দেশে এমনটাই প্রচার করছেন পাক কূটনীতিবিদরা। পাকিস্তানের প্রশাসনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে সে দেশের আম-জনতার কাছে আবেদন রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপরই তড়িঘড়ি সে দেশের মানুষকে 'বোঝানোর কাজ শুরু করেছে পাক সরকার।
পাকিস্তানের 'ডন' পত্রিকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডিপ্লোম্যাট দাবি করেছেন যে, ভারত কখনোই পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ বাধানোর ঝুঁকি নেবে না। কারণ যুদ্ধ বাধলে ভারতের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এমনকি পাকিস্তানকে বিশ্বের চোখে বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে আদতে ভারতেরই একঘরে হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
কিন্তু ঘটনা হলো উরি হামলার পরবর্তী কয়েকদিনেই রেকর্ড পতন ঘটেছে করাচি স্টক এক্সচেঞ্জে। রোববার তার 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে দেশের বর্তমান অবস্থার সঙ্গে ১৯৬৫-এর যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির তুলনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেনাবাহিনীর ওপর তার পূর্ণ আস্থা আছে বলেও জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাসবাদীদের মদদ দেয়া নিয়ে ভারত তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেও অন্য সুর শোনা যাচ্ছে পাক কূটনীতিকদের গলায়।
সে দেশের আরেক ডিপ্লোম্যাটের কথার প্রসঙ্গ টেনে টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, ভারত ভুল উদাহরণ তুলে ধরছে। ভারতের মনোভাবে সবাই আঘাত পাচ্ছে। ভারত এ পথেই চলতে থাকলে পাকিস্তানের বদলে ওরা নিজেরাই একঘরে হয়ে পড়বে।
তবে সবাই অবশ্য সহমত নন। জাহিদ হুসেইন নামে এক প্রবীণ পাক সাংবাদিকের কথায়, আমাদের বিদেশনীতি খতিয়ে দেখার সময় এসেছে। অর্থনৈতিকভাবে আমরা এমনকি শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের থেকেও পিছিয়ে পড়েছি। এভাবে আর কতদিন চলবে?
২৬ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম