আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফের পরমাণু অস্ত্র বানানোর তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে পাকিস্তান। এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস থেকে পাওয়া ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এবং চলতি বছরের ১৮ এপ্রিলের উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে আইএইচএস জেন’স ইন্টেলিজেন্সের বিশেষজ্ঞরা এমনই দাবি তুলেছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের ৩০ কিলোমিটার পূর্বে কাহুটা এলাকায় নতুন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পরিকাঠামো নির্মাণের তোড়জোড় চলছে। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পরিকাঠামো বলে ধারণা হওয়া অংশটি খান রিসার্চ ল্যাবরেটরির কাছে প্রায় ১.২ হেক্টর জায়গার উপর তৈরি হয়েছে। রয়েছে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। সেখানকার কাঠামোগুলির ধরন অনেকটা পরমাণু জ্বালানি কোম্পানি ইউরেনকোর তৈরি করা কাঠামোর মতো।
ইউরেনকো ইউরোপে বিভিন্ন পরমাণু-বিষয়ক পরিকাঠামো তৈরি করেছে। উল্লেখ্য, যতই সমালোচনা হোক না কেন, পাকিস্তান সরকার যে পরমাণু কর্মসূচি থেকে পিছিয়ে আসবে না, তা ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী ইশাক দার।
মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে ‘পাকিস্তানের পরমাণু বোমা কিনে নাও’ শীর্ষক খবরে ১০০ ট্রিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে পাকিস্তান পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডার নির্মূলের পরামর্শ দেয়া হয়েছিল।
তারই জবাবে পাকিস্তান সংসদের উচ্চকক্ষে ইশাক দার বলেছেন, পাকিস্তানের ঋণের পরিমাণ ১০০ ট্রিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকলেও পরমাণু কর্মসূচি থেকে পিছিয়ে আসবে না ইসলামাবাদ। পাকিস্তান ১৯৯৮ সালে প্রথম পরমাণু পরীক্ষা চালায়। তথ্য বলছে, পাকিস্তানে ১২০টির মতো পারমাণবিক অস্ত্র মজুত রয়েছে, যা ভারত, উত্তর কোরিয়া ও ইসরাইলের চেয়েও বেশি।
পাকিস্তান সরঞ্জাম কিনছে চীনের কাছ থেকে। চীনের সংস্থা ‘বেইজিং সানটেক টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড’-এর তৈরি বেশ কিছু পরমাণু সরঞ্জাম উত্তর কোরিয়ার কাছে পাকিস্তান বিক্রি করেছে বলে প্রমাণ পেয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দারা।
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম