আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হাফ-ইয়ার্লির পরীক্ষা নেওয়ার পরে উত্তরপত্র গোছানোর কাজ করছিলেন দিল্লির নাংগলোই-এর সুলতানপুরি রোডের গভর্নমেন্ট বয়েজ সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের হিন্দি শিক্ষক মুকেশ কুমার। আচমকাই সেখানে হাজির হয় দ্বাদশ শ্রেণির দুই ছাত্র। সোমবার বিকেলে তখন ঘড়ির কাঁটা সাড়ে চারটের ঘরে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুকেশ কুমারের পেটে একাধিকবার ছুরি ঢুকিয়ে দেয় দুই ছাত্র। এমনকী, মৃত্যু নিশ্চিত করতে শরীরের বিভিন্ন জায়াগাতেও ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকে।
ক্লাসের মধ্যেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকেন বছর ৪৫-এর মুকেশ কুমার। অন্য ছাত্রদের কাছে খবর পেয়ে ততক্ষণে ছুটে এসেছেন অন্য শিক্ষকরা। কিন্তু, সশস্ত্র দুই ছাত্র তাঁদেরকেও শাসিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, ওই দুই ছাত্র ঠিকমতো স্কুলে আসত না এবং স্কুলে যাওয়ার নাম করে নানা ধরনের দুষ্কর্ম করে বেড়াত। দুই ছাত্রের উপস্থিতি স্কুলে এতটাই কম ছিল যে, এই নিয়ে স্কুলের প্রিন্সিপালকে রিপোর্ট করেছিলেন মুকেশ কুমার। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে দুই ছাত্রের পরিবারকে বিষয়টি জানায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, এক ছাত্র এরপরও অনুপস্থিতি চালিয়ে গেলে গত ১২ সেপ্টেম্বর তাকে বহিষ্কার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং সেই বহিষ্কারের চিঠি বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এর পর থেকেই মুকেশ কুমারের উপরে বদলা নিতে নাকি মরিয়া হয়ে উঠেছিল ওই দুই ছাত্র। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। তাদের দাবি, খুব শিগগির দুই অভিযুক্ত ধরা পড়বে।
এদিকে, মুকেশ কুমারের অবস্থা সঙ্কটজনক। তাঁর অগ্ন্যাশয়, পাকস্থলি এবং কাঁধের ক্ষত গুরুতর। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। ঘটনার সময়ে সেখানে আরও ৬ থেকে ৭ জন ছাত্র ছিল। তারাই ওই দ্বাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রকে চিহ্নিত করে।-এবেলা
২৭ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর