আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জম্মু-কাশ্মীর থেকে রাজস্থান পর্যন্ত ভারতীয় বিমানবাহিনীর ১৮টি এয়ারবেসে চূড়ান্ত সামরিক মহড়া চলছে। এলাকার ওপর থেকে মাঝে মধ্যেই উড়ে যাচ্ছে যুদ্ধ বিমান, হেলিকপ্টার। এ ছাড়াও প্যাসিভ এয়ার ডিফেন্স এবং গ্রাউন্ড ডিফেন্সেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে বিামনবাহিনী। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
যদিও এই মহড়াকে ‘রুটিন এক্সারসাইজ’ বলছে বিমানবাহিনী। তবে উরি হামলার কয়েক সপ্তাহ আগে এ ধরনের একটি মহড়া হয়ে গিয়েছিল। তাই একই মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার এই মহড়া দেখে মনে করা হচ্ছে যুদ্ধের প্রস্তুতি এক প্রকার সেরে রাখতে চাইছে ভারত। সূত্রের খবর, পাকিস্তান আগেই যুদ্ধের আভাস পেয়ে সামরিক মহড়া শুরু করেছিল। তাই যে কোনো রকম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে চাইছেন বিমানবাহিনীর সদস্যরা।
ভারতীয় সেনাও বিমানবাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় নানা স্ট্রাটেজি নিয়ে আলোচনা বসছে। উরি হামলার পর থেকে আকাশ এবং জমিতে একডোটে লড়াই করার জন্য তারা নানা তথ্য এবং ইনপুট একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছে। এই অংশের মোট ৭৭৮ কিলোমিটার সীমান্ত জুড়ে ভারতীয় সেনা এবং বিমানবাহিনীকে হাই-অ্যালার্টে রাখা হয়েছে। গত এক সপ্তাহের মধ্যে তিন বাহিনীর উচ্চপদস্থ অফিসাররা বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।
ওয়েস্টার্ন এয়ার কমান্ডের মুখ্য এয়ার মার্শাল এস বি দেও নিজে বিভিন্ন এয়ারবেস গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। ওয়েস্টার্ন কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুরিন্দর সিং জম্মু এবং পাঠানকোট অঞ্চলে সমস্ত বেসে যান। এই সমস্ত বেসকে যুদ্ধের সমস্ত রকম প্রস্তুতি রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সকল বাহিনীকে নিজস্ব বেসে যত দ্রুত সম্ভব রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/শান্ত/মো:শাই