আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সেই হামলাকারী যুবকের ১৩টি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তার মধ্যে ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে নিয়েছিলেন গত বৃহস্পতিবার হামলা চালায় ক্রিস হার্পার মার্সার। ওই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন অঙ্গরাজ্যের একটি কলেজে গুলি করে ৯ জন নিহত হয়।
হামলার পরপরই পুলিশের গুলিতে নিহত হন হার্পার মার্সার। পরে তাঁর বাসা থেকে আরও সাতটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ১৩টি অস্ত্রই বৈধভাবে কিনেছিলেন মার্সার।
হামলায় নিহত ৯ জনের নাম প্রকাশ করেছে পুলিশ। নিহত সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তিটি ছিলেন ওই কলেজের শিক্ষক।
হার্পার মার্সার ২০০৮ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। এক মাস না হতেই তাঁকে অজানা কারণে বের করে দেওয়া হয়।
কী কারণে মার্সার উম্পকুয়া কমিউনিটি কলেজে হামলা করেছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। হামলায় আহত দুজন বলেছেন, বেছে বেছে খ্রিষ্টানদের লক্ষ্য করেই গুলি করেছিলেন হামলাকারী।
অনলাইনে হার্পার মার্সার ব্যক্তিগত পরিচিতিতে লিখেছিলেন, তাঁর শখ ইন্টারনেট এবং ‘কিলিং জম্বিজ’ গেমস। নিজেকে তিনি ‘রক্ষণশীল, রিপাবলিকান’ হিসেবে উল্লেখ করেন। গুলি চালিয়ে হত্যাযজ্ঞের ঘটনাগুলোর প্রতি বিশেষ আগ্রহী ছিল তাঁর।
ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে কিছুদিন আগে দুই সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করা ভেস্টার ফ্ল্যানাগানের ব্যাপারে মার্সার লেখেন, ‘যত বেশি মানুষকে হত্যা করবেন, তত বেশি আলোচনায় আসতে পারবেন।’ সূত্র: বিবিসি
০৫ অক্টোবর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস