আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ভারতের পদক্ষেপকে নিন্দা জানিয়ে বলেছেন ভারত বিনা প্ররোচণায় হামলা করেছে। পাকিস্তান ভারতের হামলাকে ‘জঘন্য আগ্রাসন’ বলেও তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ভারতের ‘সার্জিকাল স্ট্রাইকস’-এর বর্ণনাকে অস্বীকার করে এটাকে একটা বিভ্রম বলে আখ্যা দিয়েছে। তারা বলছে বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের সেনাবাহিনীর সাথে গোলাগুলিতে দুইজন পাকিস্তানী সৈন্য নিহত হয়েছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হচ্ছে অভিযুক্ত সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিতে যে সার্জিকাল স্ট্রাইকসের কথা বলা হচ্ছে সেটা একটা বিভ্রম, একটা মিথ্যা প্রভাব সৃষ্টির জন্য এটা ভারতের ইচ্ছাকৃতভাবে করা।
এর আগে ভারতের সেনাবাহিনী থেকে বলা হয়েছিল ওই অভিযানে সন্ত্রাসী ও তাদের যারা সাহায্য করতো তাদের হতাহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।
কিন্তু পাকিস্তান ভারতের পক্ষ থেকে সীমান্তে এ ধরণের হামলার কথা অস্বীকার করেছে। তারা বলছে ভারতের সেনাবাহিনীর সাথে গোলাগুলিতে দুইজন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়েছে।
এ মাসের শুরুতে ভারতের সেনা ঘাটিতে জঙ্গি হামলায় ১৮ জন সৈন্য নিহত হওয়ার পর ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভারত সেনাবাহিনী ঘোষণা করে যে তারা বুধবার রাতে কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখার অন্যদিকে পাকিস্তানের ভেতরে অভিযান চালিয়েছে। এ সময় ‘সন্ত্রাসী’ ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে বলেও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়।
ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস লেফটেন্যান্ট জেনারেল রনবীর সিং দিল্লীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই খবর জানিয়েছেন। রনবীর সিং সংবাদ সম্মেলনে জানান, ‘কাল রাতের ওই হামলায় সন্ত্রাসীদের এবং যারা তাদের মদত দিচ্ছিল, তাদের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে, মারা গেছে অনেকে। এই হামলার খবর আমি নিজেই পাকিস্তানের ডিজিএমও-কে ফোন করে আজ সকালে জানিয়েছি।’
এই অভিযান ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে এবং এ ধরনের হামলা এখনই আবারও চালানোর কোনও পরিকল্পনা নেই বলেও জানান তিনি। ভারতীয় এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, গতকাল তারা নিয়ন্ত্রণ রেখার পাকিস্তানী অংশের ভেতরে কয়েকটি স্থানে ‘সন্ত্রাসীরা’ ভারতে ঢোকার জন্য তৈরি হয়েছে বলে সুনির্দিষ্ট তথ্য পান। তাদের জম্মু-কাশ্মীর আর ভারতের অন্যান্য রাজ্যে হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল।
এসব ঘাটিতে ভারতীয় সেনাবিাহিনীর অভিযান চালানোর কথা জানিয়ে ভারতের ডিজিএমও বলেন, ‘আমরা উল্লেখযোগ্য ক্ষতিসাধন করতে পেরেছি। এই ঘটনার পরে যে কোনও পরিস্থিতির জন্যও আমরা তৈরিও আছি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় আর সেনাবাহিনীর ওই যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কোনও সাংবাদিককে প্রশ্ন করতে দেয়া হয়নি।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি