শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৬:৩৪:০৪

এবার পাক-ভারত দ্বন্দ্ব নিরসনে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের হস্তক্ষেপ

এবার পাক-ভারত দ্বন্দ্ব নিরসনে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের হস্তক্ষেপ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উরি সেনাঘাঁটিতে হামলার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে আছে ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। কাশ্মীর সীমান্তে গুলিবিনিময় করেছে দু’দেশের সেনাবাহিনী। চলছে একে অপরকে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাকিস্তানের ভেতরে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটিতে হামলা চালানোর খবর নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

তবে কাশ্মীর ইস্যুতে সৃষ্ট এই দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলার জন্য কাল বিলম্ব করলো না আমেরিকা ও চীন। সৃষ্ট এই দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলার জন্য ভারত-পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানালো পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। খবর ডনের।

চীন আশা করেছে, নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ আলাপ-আলোচনার পথ সুগম করবে। যে কোনো দ্বন্দ্ব সঠিকভাবে মোকাবেলা করবে। এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতি বজায় রাখার জন্য দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করবে।’

বুধবার পাকিস্তানের কাশ্মীরবিষয়ক বিশেষ দূতকে এমনটাই বলেছেন চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী লিউ জেনমিন। তিনি এও বলেছেন, কাশ্মীর বিষয়ে পাকিস্তানের অবস্থানকে চীন গুরুত্ব দিয়েই দেখে। অন্যদিকে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানায়, কূটনীতি ও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পাক-ভারত দ্বন্দ্বের শান্তিপূর্ণ অবসান চায় যুক্তরাষ্ট্রও।

প্রতিবেশী দু’দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জশ আর্নেস্ট এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই কূটনৈতিক পন্থায় ও শান্তিপূর্ণভাবে দ্বন্দ্ব নিরসনের আহ্বান জানিয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের প্রতি। আমরা সহিংসতার নিন্দা জানাই। বিশেষত সন্ত্রাসী আক্রমণের। আমরা আশা করছি এবং দুপক্ষের প্রতিই আহ্বান জানাচ্ছি সহিংসতার পথে না গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে চলমান উত্তেজনা প্রশমনের জন্য।'

ভারত বুধবারের মধ্যরাতের পর পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তানের ভেতর ঢুকে সন্ত্রাসীদের ওপর ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভারতীয় সেনারা ওই অভিযান চালিয়েছে। ওদিকে ভারতের ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে’র দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে ভারতের এই হামলা ‘নগ্ন আগ্রাসন’ আখ্যায়িত করেছে পাকিস্তান।  
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে