আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০০১ সালের নাইন ইলেভেন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সৌদি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা করতে পারবে বলে মার্কিন কংগ্রেসে যে বিলটি পাশ হয়েছে, সেটিকে 'অত্যন্ত উদ্বেগের কারণ' হিসেবে উল্লেখ করেছে সৌদি আরব।
কংগ্রেসকে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে দেখারও আহবান জানিয়েছে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ারে হামলার ঘটনায় তিন হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়।
বিলটি আইনে পরিণত হলে নিহতদের স্বজনেরা ক্ষতিপূরণ চেয়ে সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন। আর তাই আশংকায় পড়েছে সৌদি আরব।
ইতোমধ্যে রিপাবলিকান দলের নেতারাও অবশ্য বলতে শুরু করেছেন যে, এই আইনটিকে তারা আরো একটু পুনর্বিবেচনা করতে চান।
আর সিনেটের সংখ্যাগুরু নেতা মিচ ম্যাককোনেল বলেছেন, এই আইনের সম্ভাব্য ফলাফল ও পরিণতি কি হতে পারে তা এখনো আইন প্রণয়নকারীরা নিজেরাও বুঝতে পারছেন না।
এর আগে এই বিলটির বিরুদ্ধে ভেটো দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কিন্তু প্রেসিডেন্ট-এর দেওয়া সেই ভেটোকেও খারিজ করে দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস।
ফলে, ক্ষতিপূরণ চাইতে পারা বিষয়ক এই বিলটি এখন আইনে পরিণত হতে আর বাধা নেই।
২০০১ সালের ওই ঘটনায় জড়িত ১৯জনের মধ্যে ১৫ জনই ছিল সৌদির নাগরিক। অবশ্য, এই হামলায় নিজেদের জড়িত থাকার কথা দেশটি বরাবরই নাকচ করে এসেছে।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ কে বরাবরই হুশিয়ারি দিয়েছেন যে এই আইনটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বয়ে আনবে।
কারণ এর ফলে রীতি অনুযায়ী অন্য দেশের সরকারী কর্মকর্তাদের বিচারের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে যে দায়মুক্তি দেয়া হয়, সেটি আর থাকবে না।
ফলে অন্য দেশে কর্মরত মার্কিন বাহিনী বা কর্মকর্তাদেরও একই ভাবে বিচারের আওতায় আনার ঝুঁকি তৈরি হবে।
অন্যদিকে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে সৌদি বাদশাহের পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, বিলটি পাস হলে সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রে ৭৫ হাজার কোটি ডলারের বন্ড এবং অন্যান্য বিনিয়োগ তুলে নেবে। -বিবিসি।
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস