আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের বদলা নিতে মরিয়া পাকিস্তান। আর লস্কর-ই-তইবা প্রধান হাফিজ সইদ তো শুক্রবারই হুমকি দিয়েছেন, আসল সার্জিক্যাল স্ট্রাইক কাকে বলে, তা নরেন্দ্র মোদীকে দেখিয়ে দেওয়া হবে। পাকিস্তানের বদলার জন্য প্রস্তুত থাকলেও কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ কেন্দ্রীয় সরকার।
পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি বদলা নিলে টার্গেট হিসেবে ভারতের মেট্রো শহরগুলিকেই বেছে নিতে পারে বলেই প্রাথমকিভাবে খবর রয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে। সীমান্তের দু’পারে বাড়তে থাকা উত্তেজনার আবহে দেশের পাঁচ রাজ্যে চরম সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেই রাজ্যগুলি হল দিল্লি, রাজস্থান, পঞ্জাব, জম্মু-কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাট। এই তালিকায় কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গ না থাকলেও উৎসবের মরশুমে কলকাতার পুজোর ভিড়ও কিন্তু কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের মাথাব্যথার কারণ।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, বদলা নেওয়ার জন্য এই রাজ্যগুলিকেই বেছে নিতে পারে জঙ্গিরা। শুক্রবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে একটি সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। তার পরেই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্য, জনবহুল জায়গাগুলি, শিল্পতালুক, বিমানবন্দর, রেলস্টেশনে নিরাপত্তার কড়াকড়ি গোটা দেশেই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশেষত পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই রাজধানী দিল্লিতে হামলা চালাতে বলেও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে গোপন সূত্রে খবর রয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে এদেশে ঢুকে পড়া সন্দেহভাজন জঙ্গিদের খোঁজে গোটা দেশেই তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে শুক্রবারই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাবাহিনী এবং নিরাপত্তাবাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
গোটা অক্টোবর মাসটাই উৎসবের মরশুম। দুর্গা পুজো থেকে শুরু করে দিওয়ালি, সবই রয়েছে এই একমাস জুড়ে। ফলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডাকা এই বৈঠকে দুর্গা পুজোর বিষয়টিও উঠেছে বলেই খবর। বৈঠকে গোয়েন্দারা পরামর্শ দিয়েছেন, জনবহুল জায়গার মতো পুজো মণ্ডপগুলিতেও নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে হবে। বিমানবন্দরগুলি ছাড়াও তাজমহল এবং লাল কেল্লার মতো স্থাপত্যের নিরাপত্তার দায়িত্ব সিআইএসএফ-কে দেওয়া হয়েছে। গোটা অক্টোবর মাস জুড়েই আপাতত এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন থাকবে।-এবেলা
১ অক্টোবর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর