রবিবার, ০২ অক্টোবর, ২০১৬, ০৩:৫৪:৩১

পাক-ভারত যুদ্ধে এই ৯ নারী গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নিতে চলেছেন কেন?

পাক-ভারত যুদ্ধে এই ৯ নারী গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নিতে চলেছেন কেন?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সীমান্তে উত্তেজনা৷ কূটনৈতিক বার্তা চরমে উঠেছে৷ জলে-স্থলে-আকাশে পরস্পরকে মেপে নেওয়ার পালা চলছে পুরোদমে৷ জম্মু-কাশ্মীরের উরি সেনা ক্যাম্পে পাকিস্তান মদত পুষ্ট জঙ্গি হানার পর থেকেই নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ সম্পর্ক রীতিমতো তেতে উঠেছে।

সবমিলে একবিংশ শতকে প্রথমবার ভারত-পাকিস্তান আবারও সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুত৷ গরম সম্পর্কের এই পরিস্থিতিতে দু তরফের সেই ৯ আকাশ কন্যাকে দেখে নেওয়া যাক৷ যারা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামার জন্য মুখিয়ে৷

আকাশ কাঁপানো তিন মহিলা ভারতীয় বায়ু সৈনিক:

সম্প্রতি ভারতীয় বায়ুসেনার ফাইটার স্কোয়াড্রনে তিন মহিলার অন্তর্ভুক্তি ঘটিয়েছে৷ শক্তিতে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম বিমান বাহিনীর ফাইটার পাইলট হলেন অবনী চতুর্বেদী, মোহনা সিং ও ভাবনা কান্থ৷ রয়েল ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স থেকে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের সুদীর্ঘ ৮৪ বছরের যাত্রাপথে এই তিন মহিলা বায়ুসৈনিকের নাম ইতিহাসে উঠে এসেছে৷

যে কোনও মুহূর্তে অবনী, মোহনা, ভাওয়ান সরাসরি শত্রুপক্ষকে নাস্তানাবুদ করতে তৈরি৷ হায়দরাবাদের হাকিমপেট এয়ারফোর্স একাডেমি থেকে পাস আউট করেছেন তিন মহিলা যুদ্ধবিমান চালক৷

অবনী চতুর্বেদী:  মধ্যপ্রদেশের রেওয়ার বাসিন্দা৷ বাবা ইঞ্জিনিয়ার৷ ভাই আর্মির ক্যাপ্টেন৷ কাকা সহ পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য সেনাবাহিনীতে কর্মরত৷ খুব ছোটবেলা থেকেই বিমান চালানোর ইচ্ছে ছিল অবনীর৷ শেষপর্যন্ত দেশের প্রথম তিন যুদ্ধবিমান চালকের একজন হয়ে নজির গড়েছেন অবনী৷

ভাবনা কান্থ: বিহারের দারভাঙ্গা জেলার বাসিন্দা ভাবনা৷ পরিবারের বড় মেয়ে৷  লেখাপড়ায় তুখোড় ভাবনা বি টেক শেষ করার পর বায়ু সেনাতে যোগদেন৷ ফাইটার পাইলট হিসেবে ভাবনা প্রশিক্ষণ পর্বে কৃতিত্ব দেখিয়েছেন৷

মোহনা সিং: গুজরাটের ভদোদরার বাসিন্দা৷ এয়ারফোর্সে রয়েছেন তাঁর পরিবারের আরও কয়েকজন৷ বি টেক পাশ করা মোহনা এয়ারফোর্সে যোগ দেন৷ নজির গড়ে মহিলা ফাইটার চালক হিসেবে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেওয়ার স্বীকৃতি পেয়েছেন৷

এবার রইল প্রতিদ্বন্দ্বী ছয় পাকিস্তানি মহিলা যুদ্ধবিমান চালকের কথা: ৬৯ বছরের পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে যুদ্ধবিমান চালক হিসেবে মহিলাদের স্থান রয়েছে৷ এরা হলেন আয়েশা ফারুক, অম্বরিন গুল, সাবা খান, নাদিয়া গুল, মরিয়ম খলিল।

আয়েশা ফারুক: পাকিস্তানের অন্যতম ফাইটার প্লেন চালক৷ বাড়ি ভাওয়ালপুরে৷ উড়ান প্রশিক্ষণ পর্বে বিশেষ কৃতিত্ব দেখিয়েছেন আয়েশা৷

অম্বরিন গুল: ইসলামাবাদের বাসিন্দা৷ বাবা এক বেসরকারি কোম্পানির ম্যানেজার৷ ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে এয়ারফোর্সে যোগ দেন অম্বরীন৷ প্রশিক্ষণ শেষে যুদ্ধ বিমান চালক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন৷

সাবা খান: বালোচিস্তানের রাজধানী কোয়েটার বাসিন্দা৷ পাকিস্তান এয়ারফোর্সের প্রথম মহিলা ব্যাচের একজন সাবা। সরাসরি আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখেননি তিনি। কাগজে চাকরির বিজ্ঞাপণ দেখে এয়ারফোর্সের পরীক্ষায় আবেদন করেছিলেন। বাকিটা ইতিহাস।

সায়রা বাতুল: উপজাতি হাজারা গোষ্ঠী থেকে উঠে আসা যুদ্ধ বিমান চালক। পাকিস্তানি মহিলাদের মধ্যে আইকন সায়রা।

মরিয়ম খলিল: পাকিস্তানি মহিলা যুদ্ধ বিমান চালাকদের অন্যতম নাম৷ পাকিস্তান এয়ারফোর্সের প্রথম মহিলা  ব্যাচের অন্যতম৷ যোগ্যতা পর্বে কৌশলী যুদ্ধবিমান চালক হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি৷

নাদিয়া গুল: আরও এক পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান চালক৷ স্বামী পাকিস্তান আর্মির ক্যাপ্টেন৷-কলকাতা২৪

০২ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে