রবিবার, ০২ অক্টোবর, ২০১৬, ০৮:৫৮:৩০

ভারতের পাঁচ দুর্ধর্ষ অ্যান্টি শিপ মিসাইল

 ভারতের পাঁচ দুর্ধর্ষ অ্যান্টি শিপ মিসাইল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের কাছে রয়েছে একাধিক অ্যান্টি শিপ মিসাইল। যা দিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে অনায়াসে আঘাত হানা যায় নির্দিষ্ট টার্গেটে। কোনোটা আমেরিকার, কোনোটা রাশিয়া থেকে আনা। জেনে নিন ভারতের পাঁচটি দুর্ধর্ষ অ্যান্টি শিপ মিসাইল সম্পর্কে কিছু তথ্য-

1. SS-N-2D Styx বা P-15 Termit: p-15-termitরাশিয়ায় নির্মিত এই অ্যান্টি শিপ মিসাইল আদতে অনেক পুরোন। ভারত, রাশিয়া, বাংলাদেশ সহ বহুদেশ এটি ব্যবহার করে। ৪০০কেজি ওয়ারহেড নিয়ে এটি সর্বোচ্চ ৯০কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে পারে। উল্লেখ্য, ১৯৭১ এর ভারত-পাক যুদ্ধে অপারেশন ট্রাইডেন্ট ও পাইথনে এই মিসাইলের ব্যবহার করে পিএনএস শাহজাহান সহ বহু পাকিস্তানি জাহাজের সলিল সমাধি করা হয়েছিল। বর্তমানে কিছু রাজপুত ক্লাস ডেস্ট্রয়ারের সেকেন্ডারি অ্যান্টি শিপ মিসাইল হিসেবে এগুলি ব্যবহার করে।

2. Kh-35: kh-35আমেরিকার বিখ্যাত হারপুন মিসাইলের জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছিল রাশিয়ার অ্যান্টি শিপ মিসাইল Kh-35। বর্তমানে রাশিয়া ছাড়াও ভারতীয় নৌবাহিনী এই মিসাইলের মালিক। ১৪৫ কেজি ওজন নিয়ে ১৩০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম এটি। যদিও আপগ্রেড করে রেঞ্জ ৩০০ কিলোমিটার করা হয়েছে এই মিসাইলের রেঞ্জ। দিল্লি ক্লাস ডেস্ট্রয়ার, কোরা ক্লাস করভেট ছাড়াও বিমান বাহিনীর MiG-29, MiG-29K, Su-30MKI, HAL Tejas তাদের অ্যান্টিশিপ রোলে এর ব্যবহার করে।

3. Harpoon মিসাইল: harpoonআমেরিকার অন্যতম বিখ্যাত  এই অ্যান্টিশিপ মিসাইলও রয়েছে ভারতের হাতে। আমেরিকার বহু জাহাজই ব্যবহার করে এটি। আজ অবধি ৭৫০০র বেশি এই মিসাইল তৈরি হয়েছে। ভারত এই মিসাইলের AGM-84A air-launched ভার্সান ও UGM-84A Submarine-launched ভার্সান ব্যবহার করে। ২২১কেজি বিস্ফোরক নিয়ে ১২৪ কিলোমিটার পাড়ি দিতে পারে এটি। আমাদের নৌবাহিনীর জাগুয়ার বিমান, পি-৮আই অ্যান্টি সাবমেরিন বিমান ও শিশুমার ক্লাস সাবমেরিন এগুলি ব্যবহার করে।

4. 3M-54 Klub মিসাইল: 3m-54-klubরাশিয়ার এই মিসাইল বর্তমানে সিরিয়াতে ব্যবহার হতে দেখা গিয়েছে। এর রেঞ্জ ৫০-২৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। একাধিক ভার্সান রয়েছে এই মিসাইলের। আমরা এর 3M-54E ভার্সান ব্যবহার করি যার রেঞ্জ ২২০ কিলোমিটার। এটি ৫০০কেজি সাধারণ বা পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম । এর এক অসাধারণ গুন রয়েছে। টার্গেটের ১৫-২০ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছেই এর গতি দ্রুত বেড়ে শব্দের গতির ৩গুন হয়ে যায়। ফলে টার্গেট শিপ থেকে তাকে আটকানো যায় না। আমাদের কিলো ক্লাস সাবমেরিন ও তলোয়ার ক্লাস ফ্রিজেট এর ব্যবহার করে।

5. BrahMos: brahmosশত্রুদের ঠেকাতে ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার এই ব্রহ্মোস মিসাইল। ভারত ও রাশিয়ার মিলিত উদ্যোগে তৈরি এই মিসাইলের কথা প্রায় সবারই জানা। শব্দের ৩ গুণ গতিতে ২৯০ কিলোমিটার পাড়ি দিতে পারে এই মিসাইল। এটি ৩০০কেজি বিস্ফোরক বহনে সক্ষম। এটি বিশ্বের মধ্যে অন্যতম একটি মিসাইল যার হোমিং সিকার এতই উন্নত যে শত্রুপক্ষ জিপিএস জ্যাম করে দিলেও এটি নিজের লক্ষ্য অনায়াসে ভেদ করতে পারবে। এটির velocity এতই বেশি kinetic energy-র মাধ্যমে বিস্ফোরক ছড়াই একটা জাহাজকেবুলেটের মত এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিতে পারে। রাজপুত ক্লাস ডেস্ট্রয়ার, কলকাতা ক্লাস ডেস্ট্রয়ার , বিশাখাপত্তনম ক্লাস ডেস্ট্রয়ার, শিবালিক ও তলোয়ার ক্লাস ফ্রিজেট এটি ব্যবহার করে। সম্প্রতি এই মিসাইল সিন সীমান্তে মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারত।-কলকাতা২৪
০২ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে