আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিওলের সঙ্গে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছে লালচিনের! দক্ষিণ কোরিয়াতে আমেরিকার অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধক ব্যবস্থা থাড বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। মূলত উত্তর কোরিয়ার হাত থেকে মিত্রদেশ দক্ষিণ কোরিয়াকে বাঁচাতেই এই সিদ্ধান্ত নেয় আমেরিকা। আর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে রীতিমত উদ্বেগে রয়েছে চিন এবং রাশিয়া। আর এই ইস্যুতে ফের একবার দক্ষিণ কোরিয়ার উপর উষ্মা প্রকাশ করল চিন।
এক প্রথম সারির চৈনিক সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি মেনেই দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধক টার্মিনাল বা ‘থাড’ বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে আমেরিকা। এর ফলে আঞ্চলিক নিরাপত্তাজনিত কৌশলগত ভারসাম্য নষ্ট হবে। দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকার এই পদক্ষেপের চরম বিরোধিতা করছে বেজিং। চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি তেতে রয়েছে কোরিয়ান উপদ্বীপ। বিশেষ করে উত্তর কোরিয়ার ক্রমাগত পরমাণু অস্ত্র থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় উদ্বেগে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। চাপ এড়াতে পারছে না আমেরিকাও। উত্তর কোরিয়ার বিভিন্ন অস্ত্র পরীক্ষার পিছনে চিনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদত রয়েছে, তা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই দুনিয়ায়। তাই আঞ্চলিক নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ‘থার্ড’ বসানোর মার্কিন পরিকল্পনার বিরোধিতায় নেমেছে চিন। ‘থাড’ স্থাপনকে কেন্দ্র করে ওই সংবাদ মাধ্যম যে খবর করেছে, তা আসলে বেজিংয়ের কথা বলে কূটনীতির বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে মোকাবিলা করতে ‘থাড’ স্থাপন নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে কথা হয় দক্ষিণ কোরিয়ার। মূলত ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য অস্ত্রহানা রোধ করতেই ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্যোগী হয় দক্ষিণ কোরিয়া। ঠিক হয়ে একটি গলফ কোর্স মাঠে ‘থাড’ স্থাপন করবে আমেরিকা। চৈনিক এই সংবাদ মাধ্যম এদিন জানিয়েছে, ‘থাড’ হল একটি শক্তিশালী রাডার। যা নিরাপত্তা জনিত কৌশলগত ভারসাম্যকে নষ্ট করবে। যদিও আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া যৌথভাবে জানিয়ে দিয়েছে, উত্তর কোরিয়া ছাড়া ‘থাড’ কোনওভাবেই চিন কিংবা অন্য রাষ্ট্রের কাছে ভীতির নয়।-কলকাতা২৪
০২ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস