রবিবার, ০২ অক্টোবর, ২০১৬, ০৮:২২:২৫

যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়াকে চীনের হুশিয়ারি

যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়াকে চীনের হুশিয়ারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিওলের সঙ্গে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছে লালচিনের! দক্ষিণ কোরিয়াতে আমেরিকার অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধক ব্যবস্থা থাড বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।  মূলত উত্তর কোরিয়ার হাত থেকে মিত্রদেশ দক্ষিণ কোরিয়াকে বাঁচাতেই এই সিদ্ধান্ত নেয় আমেরিকা।

আর যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েনের সিদ্ধান্তের জন্য ওয়াশিংটন ও সিউলকে ‘চরম মূল্য দিতে হবে’ বলে হুশিয়ারি দিয়েছে চীনের শীর্ষস্থানীয় একটি পত্রিকা। শনিবার চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পিপলস ডেইলির খবরে এ হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে।

গত দেড় বছরে উত্তর কোরিয়ার বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা চালায়। সর্বশেষ গত মাসে পঞ্চম ও বৃহত্তম পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে দেশটি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী-ব্যবস্থা ‘টার্মিনাল হাই অ্যালটিটুড এরিয়া ডিফেন্স (থাড)’ মোতায়েনে মতৈক্যের ওই ঘোষণা দেয়। থাড মোতায়েনের সিদ্ধান্তের বিষয়টি চূড়ান্ত বলে শুক্রবার ঘোষণা দেয় দক্ষিণ কোরিয়া।

তবে এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছে চীন। পিপলস ডেইলিতে ঝং শেং নামের একজন লিখেছেন, থাড মোতায়েন আঞ্চলিক কৌশলগত নিরাপত্তা ভারসাম্য নিশ্চিত করতে পারবে না। বরং এর মাধ্যমে দুই কোরিয়া আবার মুখোমুখি অবস্থানে চলে আসবে। কোরিয়া উপদ্বীপে এমন ধরনের ঝুঁকি নেয়া উচিত হবে না বলে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়াকে হুশিয়ারি করেছে।

আরও বলা হয়, যদি যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া চীনসহ কোনো দেশের কৌশলগত নিরাপত্তা স্বার্থ নিয়ে নাক গলানোর চেষ্টা করে তবে তার জন্য চরম মূল্য দিতে হবে। প্রয়োজনে পাল্টা হামলার শিকার হতে পারে। থাড মোতায়েন করা হলে বিকল্প পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে চীনের পক্ষ থেকে বারবার জোর প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে ওই খবরে। যদিও দেশ দুটি বলছে, চীনের নিরাপত্তার জন্য থাড হুমকি নয়।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ‘বাস্তব ব্যবস্থা’ গ্রহণের হুমকি দেয় উত্তর কোরিয়া। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়, নির্মম প্রতিশোধমূলক হামলার ব্যাপারে আমাদের সেনারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। দক্ষিণ কোরিয়ার ভেতর ওই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অবস্থান ও স্থান সম্পর্কে যখনই জানা যাবে, ওই মুহূর্ত থেকে ওই ব্যবস্থার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিতে পাল্টা ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে মোকাবিলা করতে ‘থাড’ স্থাপন নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে কথা হয় দক্ষিণ কোরিয়ার। মূলত ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য অস্ত্রহানা রোধ করতেই ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্যোগী হয় দক্ষিণ কোরিয়া। ঠিক হয়ে একটি গলফ কোর্স মাঠে ‘থাড’ স্থাপন করবে আমেরিকা। চৈনিক এই সংবাদ মাধ্যম এদিন জানিয়েছে, ‘থাড’ হল একটি শক্তিশালী রাডার। যা নিরাপত্তা জনিত কৌশলগত ভারসাম্যকে নষ্ট করবে। যদিও আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া যৌথভাবে জানিয়ে দিয়েছে, উত্তর কোরিয়া ছাড়া ‘থাড’ কোনওভাবেই চিন কিংবা অন্য রাষ্ট্রের কাছে ভীতির নয়।
২ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে