আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সার্জিকাল স্ট্রাইকের অকাট্য প্রমাণ পেশ করে কংগ্রেস ও আপকে খানিকটা ব্যাকফুটে ঠেলে দিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট। নিয়ন্ত্রণরেখার বাসিন্দা প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ তুলে ধরে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, উনত্রিশে সেপ্টেম্বর সার্জিকাল স্ট্রাইক হয়েছিল।
এবং তাতে যথেষ্টই ক্ষতি হয়েছে পাক জঙ্গিদের। ওইদিন নিহত জঙ্গিদের দেহ লরিতে নিয়ে গিয়ে গোপনে পুঁতে দেওয়া হয় বলেও দাবি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
নিয়ন্ত্রণরেখার বাসিন্দাদের কথায় উঠে এসেছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে পাঁচ প্রত্যক্ষদর্শী সেই বিবরণ দিয়েছেন। উনত্রিশে সেপ্টেম্বর গভীর রাতে আল হাওই ব্রিজের কাছ থেকে তারা জোরে গুলির আওয়াজ শুনেছিলেন। অনুমান, গুলি করা হয়েছিল চুরাশি এম এম কার্ল গুস্তাভ রাইফেল ও ছোট আগ্নেয়াস্ত্র থেকে। পরদিন ভোরে পাঁচ থেকে ছটি দেহ ট্রাকে তোলা হয়।
সম্ভবত, নীলম নদীর ধারে চালহানায় লস্কর ক্যাম্পের কাছ থেকেই দেহগুলি তোলা হয়। অন্য এক প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য, লস্কর জঙ্গিরা আওয়াজ তুলছিল সীমান্ত রক্ষায় পাক সেনা ব্যর্থ। হামলার জবাব দ্রুত ভারতকে দেওয়া হবে বলেও আওয়াজ তুলছিল লস্কর জঙ্গিরা।
এদিকে, প্রথমদিকে এই অপারেশন নিয়ে মোদি সরকারের পাশে থাকলেও পরের দিকে কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি (আপ)-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তরফে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে এই ঘটনার সত্যতা তুলে ধরার জন্য দাবি জানানো হয়।
এইরকম এক রাজনৈতিক কচকচানির মধ্যেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের একাধিক ভিডিও এবং গ্রাফিক্স মোদির হাতে তুলে দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতীয় সেনাও চাইছে পাকিস্তানসহ বিরোধীদের জবাব দিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ভিডিও জনসমক্ষে আনা হোক। পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে ঢুকে কিভাবে ভারতীয় সেনা গোটা অপারেশন চালিয়েছিল তা দেখানো যেতে পারে বলে জানিয়েছে সেনার কর্মকর্তারা।
এছাড়াও ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীসহ দেশটির অন্য রাজনৈতিক দলগুলির শীর্ষ নেতাদেরকেও সেই তথ্য দেয়া হয়।
৪ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি