বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তেল সরবরাহকারী পথ হিসেবে বিবেচিত পারস্য উপসাগর ও হরমুজ প্রণালিতে তাজা গোলাবারুদের ব্যবহারসহ নৌমহড়া শুরু করেছে সৌদি আরব। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে এই মহড়া। আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের সাথে উত্তেজনা বাড়ার মধ্যে এ মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সরকারি গণমাধ্যমের খবরে এ কথা বলা হয়েছে।
রাষ্ট্র পরিচালিত সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, ‘যুদ্ধজাহাজ, স্পিডবোর্ড, বিমান ও নৌবাহিনীর বিমান, মেরিন কর্পস এবং নৌ ইউনিটের বিশেষ নিরাপত্তা ইউনিট এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে।’ মহড়ায় তাজা গোলাবারুদ ব্যবহার করা হচ্ছে।
এসপিএর খবরে রিয়ার কামান্ডার মাজেদ বিন হাজ্জা আল-কাহতানির উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, যেকোনো সম্ভাব্য আগ্রাসন থেকে সৌদি আরবের নৌস্বার্থের সুরক্ষায় প্রস্তুতির বিষয় পরীক্ষা করতে এই মহড়া চালানো হচ্ছে। ওমান সাগরেও মহড়া চালানো হচ্ছে বলে এসপিএর খবরে বলা হয়েছে।
২০১৫ সালে ইরান ও বিশ্ব শক্তিবর্গ তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের পর দেশটির ওপর থেকে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক নিষেধজ্ঞা উঠে যায়। এতে উপসাগরীয় অঞ্চলে শিয়া দেশটির প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছে যা সুন্নি প্রধান সৌদি আরবের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সমর্থনে সৌদি আরব প্রতিবেশী ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত শিয়া হাউছি বিদ্রোহীদের ওপর হামলার নেতৃত্ব দিচ্ছে। এটি ইরানের প্রভাব বিস্তারের দেশটির সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ। সৌদি আরব দৈনিক এক কোটি ৭০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন করে, যার প্রায় ৩০ শতাংশ সাগর পথে রফতানি হয় ২০১৩ সালে।
০৬ অক্টোবর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম