বৃহস্পতিবার, ০৬ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:১৭:১৯

পাকিস্তানের স্বয়ংক্রিয় সাঁজোয়া যান দেখে ভারতজুড়ে তোলপাড়

পাকিস্তানের স্বয়ংক্রিয় সাঁজোয়া যান দেখে ভারতজুড়ে তোলপাড়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের পাঞ্জাবের আন্তর্জাতিক সীমান্তে মোতায়েন বিএসএফ জওয়ানরা হঠাৎ লক্ষ্য করেন, ভারতের দিকে এগিয়ে আসছে স্বয়ংক্রিয় একটি সাঁজোয়া যান। মঙ্গলবারের এ ঘটনায় মুহূর্তে যুদ্ধ প্রস্তুতির রব পড়ে যায় গোটা সীমান্তে। আন্তর্জাতিক সীমান্তের মাত্র ১০০ মিটার আগে থেমে যায় স্বয়ংক্রিয় গাড়িটি। সীমান্তের ধার ঘেঁষে কিছু দূর গিয়ে গাড়িটি ফিরে যায় পাকিস্তানের সেনা শিবিরে।

উরি হামলা ও সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরে গাড়িটি দেখে চূড়ান্ত সতকর্তা জারি হয় সীমান্তে। তোলপাড় পড়ে যায় ভারতীয় সেনা ব্যারাকে। বিএসএফের মতে, চালকহীন ওই গাড়িটিতে ক্যামেরা লাগানো ছিল। বিএসএফের ডিজি কে কে শর্মা বলেন, সীমান্তে আমাদের প্রস্তুতি কেমন সম্ভবত সেটাই মাপার জন্য পাক বাহিনীর পক্ষ থেকে ওই গাড়িটি পাঠানো হয়েছিল। এভাবেই পাকিস্তান পশ্চিম সীমান্তেও চাপ বাড়াতে চাইছে বলে ধারণা নরেন্দ্র মোদি সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের।

ওই ঘটনার পরে কোনো ঝুঁকি নেয়নি বিএসএফ। কেন্দ্রের কাছে আন্তর্জাতিক সীমান্তে আধা-সামরিক সেনা বাড়ানোর দাবি জানায় তারা। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে দ্রুত পশ্চিম সীমান্তে চার ব্রিগেড বাড়তি বিএসএফ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় নর্থ ব্লক। মঙ্গলবার লাদাখের পরে বুধবার কার্গিল ও দ্রাস এলাকার সীমান্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। সীমান্তে সেনা প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেন সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে।

এ দিন অবশ্য ভোর থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জম্মু-কাশ্মীর সীমান্ত। কূটনৈতিকভাবে উভয় পক্ষই সীমান্তে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা শুরু করলেও, তার কোনো বাস্তব প্রতিফলন এখনও নিয়ন্ত্রণরেখায় দেখা যাচ্ছে না। এ দিন জম্মু-কাশ্মীরের নওশেরা ও আখনুর সেক্টরে ভারতীয় পোস্ট লক্ষ্য করে গুলি ও মর্টার ছোড়ে পাক সেনা। জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, আগামী কিছুদিন সীমান্তে হামলা চালিয়ে যাবে পাকিস্তান। শীত আসছে। তার আগে যত বেশি সংখ্যক জঙ্গি অনুপ্রবেশ করাতে চাইছে পাক সেনা।

এরই মধ্যে পাঞ্জাবের অমৃতসরের কাছে ইরাবতী নদীতে পাকিস্তানের একটি ডিঙি নৌকো উদ্ধার করেছে বিএসএফ। বুধবার ভোরে ওই নৌকাটি পাকিস্তানের দিক থেকে অমৃতসরের দিকে ভেসে আসে। জলপথে হানার আশংকায় পাক নৌকা নিয়ে সতর্ক সীমান্তরক্ষীরা। তবে এই নৌকাটিতে একটি পাকিস্তানি পতাকা ছাড়া কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন বিএসএফের ডিআইজি আর এস কাটারিয়া। তিনি জানান, পরে ফ্ল্যাগ মিটিং-এ পাকিস্তানি রেঞ্জার্সও পাকিস্তান থেকে নৌকা ভেসে আসার কথা মেনে নিয়েছে। -আনন্দবাজার, যুগান্তর।
০৬ অক্টোবর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে