আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত এক দশকের সবচেয়ে শক্তিশালী ‘হারিকেন’ আছড়ে পড়তে চলেছে আমেরিকার ফ্লোরিডার সমুদ্র-সৈকতে। অসমর্থিত সূত্রের খবর, আছড়ে পড়ার আগেই ওই ভয়ঙ্কর সামুদ্রিক ঝড়ে ‘ম্যাথু’র ‘হুলে’ মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০০ জনের। শুক্রবার রাত থেকেই তা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে ফ্লোরিডার সমুদ্র-সৈকতে আছড়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা। একনাগাড়ে তুমুল বৃষ্টি আর ঘণ্টায় প্রায় ১৫৫ মাইল গতিবেগের ঝড়ের দাপটে এরই মধ্যে কম করে ১৫ লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন ফ্লোরিডায়। ফ্লোরিডার গভর্নর রিক স্কট এ দিন ফ্লোরিডাবাসীর প্রতি তাঁর সতর্কবার্তায় বলেছেন, ‘‘ভয়ঙ্কর ঝড়ে সর্বস্বান্ত হওার আগেই আপনারা নিরাপদ দূরত্বে চলে যান। একটা ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটতে চলেছে।’’ আবহবিদরা জানিয়েছেন, ওই হারিকেন ‘ম্যাথু’-র দাপটেই চলতি সপ্তাহে হাইতিতে অন্তত ৩৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই ভয়ঙ্কর সামুদ্রিক ঝড় বাহামার দিকেও চলে যেতে পারে।
সরকারি সূত্রের খবর, ভয়ঙ্কর হারিকেন ‘ম্যাথু’র দাপটে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা ফ্লোরিডার দু’টি এলাকা ব্রাউয়ার্ড ও মিয়ামির। ওই দু’টি এলাকারই জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি। প্রশাসনিক ভাবে ‘জরুরি অবস্থা’ জারি হওয়ার পর স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সব বিমান বাতিল তো করা হয়েছেই, যে বিমানগুলি আকাশে ছিল, সেগুলিকেও জরুরি ভিত্তিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। ফ্লোরিডা বিমানবন্দর থেকে অন্তত হাজার তিনেক বিমান বাতিল করা হয়েছে।
ফ্লোরিডার ‘ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস’ তার সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, ভয়ঙ্কর হারিকেন ‘ম্যাথু’র জন্য ব্রাউয়ার্ড ও মিয়ামির সুবিস্তীর্ণ এলাকাগুলি প্রায় মাসখানেকের জন্য মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে যেতে পারে। অন্তত ২৫ লক্ষ মানুষকে অন্যত্র নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন। আবহবিদরা জানাচ্ছেন, ‘ম্যাথু’ আদতে ‘ক্যাটেগরি ফোর হারিকেন’ বা চতুর্থ শ্রেণীর সামুদ্রিক ঝড়। যার গতিবেগ থাকে ঘণ্টায় ১৩১ থেকে ১৫৫ মাইলের মধ্যে। ঘণ্টায় ১৫৫ মাইল গতিবেগের সামুদ্রিক ঝড় হলে তা ‘ক্যাটেগরি ফাইভ হারিকেন’ হয়ে যায়।
জরুরি ভিত্তিতে ব্রাউয়ার্ড, মিয়ামি সহ ফ্লোরিডার বিস্তীর্ণ এলাকায় ত্রাণ ও ওষুধবিষুধ পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।-আনন্দবাজার
০৭ অক্টোবর,২০১৬/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/এইচএস/কেএস