শনিবার, ০৮ অক্টোবর, ২০১৬, ০১:০৭:২৪

মৃত্যু উপত্যকায় নতুন দুই প্রাণের উন্মেষ

মৃত্যু উপত্যকায় নতুন দুই প্রাণের উন্মেষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জীবন আর মৃত্যুর সমান্তরাল যাত্রাপথে ৮শ মানুষের মৃত্যুর শোকের মধ্যেই দুই নতুন জীবনকে স্বাগত জানালো হাইতি। ম্যাথিউ-র আঘাতে বিধ্বস্ত হাইতি আক্ষরিক অর্থেই হলো এক মৃত্যু উপত্যকা, তখন সেখানে জন্ম নিলো দুটি প্রাণ। হারিকেনটি হাইতিতে আঘাত হানার কয়েক ঘন্টা পরই জুলিয়েন ক্যাডেট জমজ পুত্রসন্তানের জন্ম দেন, জ্যঁ-অ্যাটান ও জোনাস ক্যাডেট।

হাইতির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ফন্ড-দেস-ব্লাঙ্কস এলাকার এক গ্রামের অধিবাসী ৩৫ বছর বয়সী ক্যাডেট। ম্যাথিউ আঘাত হানার পর স্থানীয় সেইন্ট বনিফেইস হাসপাতালের কর্মীরা ওই এলাকায় হতাহতদের উদ্ধারে অভিযান চালান।

শুক্রবার রাতে ফোনে এক সাক্ষাৎকারে হাসপাতালটির আবাসিক সমন্বয়কারী ক্যাট হোয়াইট জানান, ওই গর্ভবতী নারী ফন্ড-দেস-ব্লাঙ্কস-এর একটি নদী পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। স্থানীয়দের সহায়তায় তিনি নদী পার হন। এরপর একটি অ্যাম্বুলেন্স তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

তিনি আরও জানান, বুধবার রাতে যখন ম্যাথিউ আঘাত করে, তখন ওই হাসপাতালে চারটি জরুরী সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। এর মধ্যে একটি ছিল তার অপারেশনটি।

ক্যাডেট জানান, ‘আমি খুব কষ্টে ছিলাম তখন। ভয় পাচ্ছিলাম, আমি হয়তো পথের মধ্যেই আমার বাচ্চাদের হারাতে হবে।’

ক্যাডেট শেষ পর্যন্ত দুই পুত্র সন্তানের জন্ম দান করেন। ধ্বংসযজ্ঞের মাঝেই জন্ম নেয় দুটি প্রাণ।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, বুধবার হাইতির ওপর দিয়ে বয়ে যায় ক্যাটাগরি চারের আওতাভুক্ত (ঝড়ো বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২০৯-২৫১ কিলোমিটার) হারিকেন ম্যাথিউ। এতে অন্তত ৮৪২ জন নিহত হয়েছেন। এ সংখ্যা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

হাইতির দুযোর্গবিধ্বস্ত এলাকার কর্তাব্যক্তিরা ইতোমধ্যে বিশ্ব গণমাধ্যমে তাদের এ আশঙ্কার কথা বর্ণনা করেছেন। তাদের আশঙ্কা, রাস্তাঘাট, সেতু ও আনুষঙ্গিক বিভিন্ন অবকাঠামো ভেঙে পড়ায় আর্তদের কাছে ত্রাণ নিয়ে পৌঁছনোই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিতে পারে। -সিএনএন।
০৮ অক্টোবর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে