আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরি ৬৮ দিন উপবাসের পর মারা গেলো। এই কিশোরী ৮ম শ্রেণীতে পড়াশোনা করত। উপবাসে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন।
জৈন ধর্মের পবিত্র সময় ‘চৌমাসা’ (জুলাই থেকে অক্টোবর) পরব পালনে উপবাস করেছিলেন অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরাধনা, জানিয়েছে এনডিটিভি। আরাধনার পরিবার জানিয়েছে, ৬৮ দিন উপবাস শেষ করার দুই দিন পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সেখানে সে মারা যায়। ঘটনা ভারতের হায়দ্রাবাদের।
এই উপবাসের সময় পুরোপুরি অভুক্ত থেকে কঠিন আত্মত্যাগ করতে হয়। এ সময় পানি পানও করা যায় না। তবে সাধারণত বেশি বয়সীরাই এ ধরনের আত্মত্যাগের উপবাসে বসে থাকেন।
আরাধনাদের পরিবারের জুয়েলারি ব্যবসা এবং সেকেন্দ্রাবাদে একটি দোকান আছে। স্কুল ছেড়ে পরিবারের লোকজন কেন তাকে উপবাসে বসার অনুমতি দিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
লতা জৈন নামে জৈন সম্প্রদায়ের এক সদস্য এই মৃত্যুর ঘটনাকে ‘খুন না হলেও আত্মহত্যা’ বলে অভিহিত করেছেন। শিশু অধিকার রক্ষা আন্দোলনকারী শান্তা সিনহা বলেছেন, এ বিষয়ে শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত এবং মামলা করা উচিত।
আরাধনাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে, আরাধনা এর আগেও ৪১ দিন উপবাসে কাটিয়ে ছিলেন, তখন তার কিছু হয়নি। প্রকাশিত উপবাসে বসা অবস্থায় আরাধনার বিভিন্ন ছবিতে তাকে নববধূর পোশাকে দেখা গেছে। এ সময় তার পাশে অনেক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এই কিশোরীর শেষকৃত্যে অন্তত ৬০০ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। আরাধনাকে ‘তাপসী’ অভিহিত করা হয়েছে।
৮ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর