আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাশ্মীরের উরি হামলায় দূষিত হয়েছে পরিবেশ। এই পরিস্থিতিতে সার্ক সম্মেলন অর্থহীন। ভারতের জাতীয় স্বার্থরক্ষায় নভেম্বরে ইসলামাবাদের বৈঠক বাতিল করল ভূটান।
ভারতের সঙ্গ সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী থিম্পু। এই কারণে আগামী নভেম্বর মাসে পাকিস্তানে আয়োজিত সার্ক সম্মেলন থেকে নাম প্রত্যাহার করল ভূটান। এই বিষয়ে সার্ক চেয়ার নেপালকে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে ভূটান সরকারের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'পরিবেশ যথেষ্ট বিষিয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতি সার্ক সম্মেলন আয়োজনের সহায়ক নয়। এছাড়া বাংলাদেশ, ভারত, আফগানিস্তানে শান্তি বিঘ্নিত করার প্রয়াস সম্পর্কে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি যে, ভারতের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সর্বদা প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে সমর্থন জানাব।'
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে উল্ফা, কেএলও এবং এনডিএফবি-র মতো একাধিক রাষ্ট্র-বিরোধী সংগঠনের জঙ্গি শিবির ধ্বংস করে ভূটান সরকার। সম্প্রতি নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন কাশ্মীরের উরি সেক্টরে ভারতীয় সেনা শিবিরে জঙ্গি হামলার জেরে সরাসরি পাকিস্তানকে কাঠগড়ায় তুলেছে হিমালয়ের এই প্রতিবেশী দেশ। গোটা দক্ষিণ এশিয়ায়সহ ভূটানেও সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেওয়া এবং শান্তি নষ্ট করার জন্য পাক প্রশাসনকেঅ দায়ী করেছে ভূটান।
একই রকম খবর
ভূটান ছাড়া উরি হামলার জেরে সার্ক সম্মেলন থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত ও বাংলাদেশ। পাকিস্তান ছাড়াও চিনের নীতি সম্পর্কেও শঙ্কা প্রকাশ করেছে থিম্পু। চিন-ভূটান সীমান্তে চিনা সেনার তরফে প্রায়ই নিয়ন্ত্রণরেখা লংঘন করার ঘটনা দেখা যায় বলে দীর্ঘ দিনের অভিযোগ। এই সম্পর্কে একাধিক বার ভারত সরকারের কাছে রিপোর্ট পেশ করেছে দিল্লিতে ভূটান দূতাবাস।
প্রস্তাবিত বাংলাদেশ-ভূটান-ভারত-নেপাল মোটর যান চুক্তি প্রসঙ্গেও কাজ এগোচ্ছে বলে জানিয়েছে থিম্পু। জানা গিয়েছে, ভূটান পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ চুক্তিতে অনুমোদন দিলেও এখনও পর্যন্ত উচ্চকক্ষের অনুমতি পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে তত্পর হয়েছে সরকার।
# We are very clear that we will support India where its national interest lies: Bhutan to Saarc chair Nepal.
# 'Atmosphere had been vitiated and it was no longer conducive to hold the Saarc Summit under the present situation'.
.-এইসময়
১১ অক্টোবর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর