আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তেল-সমৃদ্ধ ইয়েমেনি প্রদেশ 'হাজরামাউত' দখল এবং আরব সাগরের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ইয়েমেনে সৌদি হামলার আসল উদ্দেশ্য। সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজের মুখ দিয়ে ইয়েমেনে সৌদি হামলার এইসব গোপন উদ্দেশ্য প্রকাশ হয়ে পড়েছে।
লেবাননি দৈনিক 'খাবার প্রেস' এই খবর ফাঁস করে জানিয়েছে, যুবরাজ সালমান বলেছেন, ইয়েমেনে যুদ্ধ-বিরতি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমাদের প্রধান শর্ত হল দেশটির হাজরামাউত প্রদেশকে সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।
সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী এটাও বলেছেন যে রিয়াদ বহু আগ থেকেই 'হাজরামাউত' দখলের এবং আরব সাগরের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার নীতি বাস্তবায়নের চেষ্টা করে আসছে। 'হাজরামাউত' প্রদেশের প্রধান শহর আলমুকাল্লা বন্দরের সঙ্গে সৌদি তেলের পাইপলাইনগুলোকে সংযুক্ত করা এবং সৌদি তেল নানা সাগর উপকূল অঞ্চলে পৌঁছে দেয়া এই সৌদি পরিকল্পনার অন্যতম লক্ষ্য।
সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী মুহাম্মাদ বিন সালমান বলেছেন, এই পরিকল্পনার আলোকে সৌদি কর্মকর্তারা পদত্যাগী ও পলাতক ইয়েমেনি প্রেসিডেন্ট মানসুর হাদির সঙ্গে চুক্তি করেছেন।
হাজরামাউত ইয়েমেনের সবচেয়ে বড় প্রদেশ। আরব সাগরের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত এই প্রদেশের উত্তর দিকে রয়েছে সৌদি আরবের বিশাল সীমান্ত।
এডেনের পর 'হাদরামাউত' প্রদেশের প্রধান শহর আলমুকাল্লা দক্ষিণ ইয়েমেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। সৌদি আরবের অনির্বাচিত রাজতান্ত্রিক সরকার নিজ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ না নিলেও ইয়েমেনে কথিত গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠার নামে দেশটির ওপর গত ২৬ মার্চ থেকে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের নির্বিচার বিমান হামলায় হাজার হাজার বেসামরিক ইয়েমেনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে শত শত শিশু ও নারী।-সুত্র: রেডিও তেহরান
১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/