আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নয়, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের বদলা নিতে তৈরি হচ্ছে প্রায় ২৫০ জঙ্গি । কার্যত কোমর ভেঙে যাওয়া পাক বাহিনী এখন এদের দিয়েই ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালানোর এই ছক করেছে। শুধু তাই নয়, হামলার জন্যে হাত মিলিয়েছে পাকিস্তানের তিনটি জঙ্গি সংগঠন। রীতিমত কাশ্মীর উপত্যকায় সক্রিয় হচ্ছে এই জঙ্গিরা। যে কোনও মুহূর্তে হামলা চালাতে পারে তারা।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ২৫০ জঙ্গির অধিকাংশই লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ এবং হিজবুল মুজাহিদিনের সদস্য। গত ২৮ ও ২৯ অক্টোবরের রাতে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর আগেই এই জঙ্গিরা কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করেছিল। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে জঙ্গি সংগঠনগুলির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এই অবস্থায় বদলা নিতে রীতিমত ফুঁসছে পাকিস্তানের এই জঙ্গি সংগঠনগুলি। সীমান্তের ওপার থেকে কাশ্মীরে ঢুকে পড়া জঙ্গিদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে পাকিস্তানের মাটি থেকে। যেন তারা অপেক্ষা না করেই হামলা চালানোর জন্যে প্রস্তুত হয়। এই সমস্ত তথ্য ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর হাতে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের আগে থেকে নিরাপত্তা বাহিনীকে জম্মু ও কাশ্মীরে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে।
একইসঙ্গে তাদের ওপর হামলার যে কোনও ছক ভেস্তে দেওয়ারও জন্য সব ধরনের সাবধানতা অবলম্বনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, নিয়ন্ত্রণ রেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্তে কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে। কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীরের ভৌগলিক অবস্থানের জন্য এই নজরদারি সর্বত্র সমানভাবে চালানো কঠিন। কিন্তু জঙ্গিদের নতুন করে অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখতে সম্ভাব্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কাশ্মীর ও জম্মুর বিভিন্ন দিক দিয়ে জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশের ছক কষছে। সূত্রের খবর, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লস্কর। রেডিও ইন্টারসেপ্ট করে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, তাদের প্রায় ২০ জন জঙ্গি মারা গিয়েছে।-কলকাতা২৪
১২ অক্টোবর,২০১৬/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/সবুজ/এসএ