আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পদার্থবিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পেলেন দুই বিজ্ঞানী। তার হলেন জাপানি গবেষক ও বিজ্ঞানী তাকাকি কাজিতা এবং কানাডিয়ান নাগরিক আর্থার বি. ম্যাকডোনাল্ড। তাদের গবেষনার বিষয় ছিল নিউট্রিনো দোলন এবং মহাবিশ্বে এদের ভরের অস্তিত্ব নিয়ে। এই দুই বিজ্ঞানী নিউট্রিনো কণা নিয়ে গবেষণা করে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে উপনীত হন। তাদের এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ফল স্বরূপ তাদেরকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনিত করা হয়।
তাকাকি কাজিতা জাপানের টোকিয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং আর্থার বি. ম্যাকডোনাল্ড হলেন কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। এই দুই বিজ্ঞানীর গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাই তাদের সফলতার অন্যতম মাধ্যম হয়ে দাড়ায়। তাদের গবেষণাটি হল নিউট্রিনোর ভর আছে এবং এরা এদের রুপান্তরের পরিক্রমায় বিভিন্ন পরিচয়ে বিদ্যমান থাকতে পারে। তাদের এই গবেষণা মহাবিশ্বকে জানার এবং বোঝার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচিত করবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।
মঙ্গলবার সুইডেনে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সের মহাসচিব গোরান হানসন পদার্থ নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন। আর বুধবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স রসায়নে নোবেল বিজয়ী ঘোষণা করবেন।
রীতি অনুযায়ী আগামী ১০ ডিসেম্বর স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকাকি কাজিতা ও আর্থার ম্যাকডোনাল্ডের হাতে ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার (৯ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার) ও একটি সনদ পাবেন। ১৯০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২০১ জন পদার্থে নোবেল পেয়েছেন। এদের মধ্যে মাত্র দুইজন নারী বিজ্ঞানী রয়েছে।
তাকাকি কাজিতার গবেষণায় উঠে এসেছে নিউট্রিনো এর উৎপত্তিগতভাবে পরিবেশে দুটো ভিন্ন পরিচয়ে বিদ্যমান। আর অপর বিজ্ঞানী অর্থাৎ আর্থার বি. ম্যাকডোনাল্ড প্রমাণ করেন সূর্য থেকে নিউট্রিনো পৃথিবীতে আসার সময় তা বিলীন হয়ে যায় না বরং এরা বিভিন্ন পরিচয়ে থাকে। এছাড়াও তারা প্রমাণ করেন এর ভর রয়েছে তবে তা খুবই কম।
সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের শেষ ইচ্ছা অনুসারে গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবতার কল্যাণে অবদানের জন্য প্রতি বছর চিকিৎসা, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়।
০৬ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/