আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ধারণা করা হচ্ছে চাপে পড়ে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বদল করা হয়েছে। তাই সবার মনে প্রশ্ন; রাহিল শরিফের পরে কে? দেশের এমন সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে কে সামলাবেন পাক সেনাপ্রধানের গুরুদায়িত্ব? ইসলামাবাদের কাছে এটা এখন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এরই মধ্যেই অনেক নাম উঠে এসেছে জল্পনায়। তবে দৌড়ে এগিয়ে চার জেনারেল।
নভেম্বর মাসেই অবসর রাহিল শরিফের। রাহিল আগেই জানিয়ে দিয়েছেন চাকরির কোনও এক্সটেনশন তিনি চান না। তিনি নির্দিষ্ট সময়েই অবসর নেবেন। পাক সংবাদমাধ্যমের যা খবর, তাতে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফও রাহিলের এক্সটেনশন চাইছেন না। পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পরবর্তী সেনাপ্রধান বাছাই নিয়ে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের আন্দোলনের ফলে একটু চাপেই আছেন নওয়াজ শরিফ।
তবে পাক সেনার চার লেফটেন্যান্ট জেনারেলের মধ্যে একজনকেই নওয়াজ শরিফ বাছবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এঁরা হলেন— জাভেদ ইকবাল রামদে, জুবায়ার হায়াত, ইসফাক নাদিম আহমেদ, কোয়ামার জাভেদ বাজওয়া। এঁদের মধ্যে আবার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রামদে দৌড়ে এগিয়ে বলে খবর। রাজনৈতিক পরিবার থেকে আসা রামদে এগিয়ে থাকার কারণ, তাঁদের পরিবার নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এন)-এর সঙ্গে যুক্ত। এর পরেই যাঁর নাম আলোচনায়, তিনি হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল হায়াত। অতীতে পাকিস্তানের স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানস ডিভিশনের ডিরেক্টর জেনারেল ছিলেন হায়াত। পাকিস্তানের পারমাণবিক শক্তি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিষয়ে এগিয়ে হায়াত। তাছাড়া চার জনের মধ্যে তিনিই সিনিয়র। অনেকে আবার লেফটেন্যান্ট জেনারেল বাজওয়াকে দায়িত্ব দেওয়ার পক্ষপাতী। কারণ বাজওয়া এখন নিয়ন্ত্রণরেখা এলাকার দায়িত্বে রয়েছেন।
পাক বিশ্লেষকদের দাবি, সেনপ্রধান বাছাই নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক নওয়াজ শরিফ। এ পর্যন্ত চার জন সেনাপ্রধান বেছেছেন প্রধানমন্ত্রী শরিফ। আর তার থেকেই তিনি শিক্ষা নিয়েছেন। ১৯৯৮ সালে পারভেজ মুশারফকে সেনাপ্রধান করে তার মূল্য চোকাতে হয়েছে। তাই আলোচনায় নেই এমন কাউকেও এই গুরুদায়িত্বে নিয়ে আসতে পারেন তিনি। ঠিক যেমনটা করেছিলেন ২০১৩ সালে। সব জল্পনাকে মিথ্যা পরিণত করে রাহিল শরিফের নাম ঘোষণা করেছিলেন।-এবেলা
১৩ অক্টোবর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর