শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৬, ০৮:২৬:০৩

ভারতের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষার গোপন তথ্য ফাঁস করেছেন এই বিজেপি নেতা?

ভারতের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষার গোপন তথ্য ফাঁস করেছেন এই বিজেপি নেতা?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বিজেপি এমপি বরুণ গান্ধীর বিরুদ্ধে। তিনি অস্ত্র ব্যবসার দালাল অভিষেক ভার্মার পাতা ‘মধুচক্রের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ে’ প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত নানা গোপন তথ্য তাঁর কাছে ফাঁস করে দিয়েছিলেন বলে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করলেন স্বরাজ অভিযান সংগঠনের দুই নেতা প্রশান্ত ভূষণ ও যোগেন্দ্র যাদব।

গত মাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) এডমন্ডস অ্যালেন নামে নিউইয়র্কের এক আইনজীবীর পাঠানো একটি চিঠি প্রকাশ করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, ওই চিঠিতে অ্যালেন জানিয়েছেন, ডিফেন্স কনসালটেটিভ কমিটির সদস্য বরুণ গান্ধীকে ফাঁদে ফেলে ‘ব্ল্যাকমেল করে’ অস্ত্র সংক্রান্ত নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছেন অভিষেক ভার্মা। যদিও সাংবাদিক বৈঠকে একবারও বরুণের নাম করেননি ভূষণ ও যাদব। তাঁরা সাংবাদিকদের অ্যালেনের লেখা চিঠিটি রেফার করেন।

অ্যালেন আগস্ট, সেপ্টেম্বরে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষমন্ত্রী, সিবিআই ও এনএসএ-কে চিঠি লেখেন বলে জানান তাঁরা।প্রসঙ্গত, এক সময় অভিষেকের পার্টনার ছিলেন অ্যালেন। ২০১২ সালে দুজন আলাদা হয়ে যান। ২০০৬ সালের নৌবাহিনীর ওয়ার রুম তথ্য ফাঁস মামলায় বিচারাধীন রয়েছেন অভিষেক।

ভূষণ দাবি করেন, সব কিছু জানা সত্ত্বেও বিজেপি সরকার কেলেঙ্কারির দাগ গায়ে লাগা স্করপিন সাবমেরিন বিক্রি করা থেলস কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করেনি, যেহেতু দাসো সেটি অধিগ্রহণ করে। আর ৩৬টি রাফালে যুদ্ধবিমান কেনার জন্য সম্প্রতি এই দাসোর সঙ্গেই চুক্তি করেছে ভারত।

ভূষণের বক্তব্য, থেলসের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হলে রাফালে ডিল ভেস্তে যেতে পারত। তার ওপর আগে ১২৬টি যুদ্ধবিমান পাওয়ার ঘোষণা হলেও সরকার বেশি দাম দিয়ে ৩৬টি এয়ারক্র্যাফট কেনে। গোটা ব্যাপারটাই কেমন যেন রহস্যে মোড়া।

তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে বরুণ বলেছেন, পেশ হওয়া গোটা তথ্যে বিন্দুমাত্র প্রমাণ মেলেনি যে, গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র আমার পাওয়ার সুযোগ ছিল এবং আমি সেসব ভার্মাকে সরবরাহ করেছি। তিনি ভূষণ ও যাদবের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, ২২ বছর বয়সে লন্ডনে পাঠরত অবস্থায় ভার্মার সঙ্গে তাঁর শেষ দেখা হয়েছিল।

বলেন, আমার বয়স এখন ৩৭। ২০০৪ সালে জনজীবনে পা রাখার পর থেকে কখনও ওর সঙ্গে দেখা হয়নি আমার। তবে ওর বাবা-মা সাংসদ ছিলেন, ওদের পরিবারটি সম্ভ্রান্ত, এই একটিমাত্র কারণেই ওকে চিনি আমি। -এবিপি আনন্দ।
২১ অক্টোবর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে