শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৬, ০১:১৪:১৯

ঠিক এই কারনেই আজ পাকিস্তান ভারতকে আক্রমণ করছিল, কী সেই কারণ?

ঠিক এই কারনেই আজ পাকিস্তান ভারতকে আক্রমণ করছিল, কী সেই কারণ?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এবার কাঠুয়ায় আন্তর্জাতিক সীমান্তে পাক রেঞ্জার্সের গুলি বৃষ্টি। জবাব দিল ভারত। বিএসএফের পাল্টা গুলিতে নিহত সাত পাক রেঞ্জার্স আর এক জঙ্গি। রাজৌরিতেও পাক বাহিনীর সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন। অনুপ্রবেশকারীদের থেকে উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র।

কাশ্মীরের লাইফ লাইন জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক। এই রাস্তাই এর পর সোজা চলে গিয়েছে লাদাখে। একবার এই রাস্তা দখল করলেই ভূস্বর্গে পাকিস্তানের মোক্ষ লাভ সম্ভব। আর সেই চেষ্টাটাই বারবার চালিয়ে আসছে ইসলামাবাদ। সার্জিকাল স্ট্রাইকের পর আরো বেপরোয়া পাক বাহিনী।

তিরিশে নভেম্বর অবসর নেবেন পাক সেনাপ্রধান রাহিল শরিফ। তার আগেই কাজ হাসিল করতে মরিয়া পাক বাহিনী...নেতৃত্বে খোদ রাহিল শরিফ। আখনুর, উরি, কারগিল, পাম্পোর, রাজৌরি, পুঞ্চ, পাঠানকোট একে একে এই এলাকাগুলি দখল নেওয়ার ছক করছে পাকিস্তান।

বারবার সীমান্তে চলছে সংঘর্ষ বিরতি, অনুপ্রবেশের চেষ্টা। তবে বারবারই চেষ্টা ব্যর্থ করছে ভারত। গত কয়েক ঘণ্টায় আরও বেড়েছে হানাদারি। কাঠুয়ার হীরানগরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বারবার সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন পাক রেঞ্জার্সের। শুক্রবার সকাল পৌনে দশটা থেকে শুরু হয়ে যায় গোলাগুলি।
 
ছোট স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র, ৮২ এমএম মর্টার নিয়ে হামলা পাক রেঞ্জার্সের। জবাব দেয় ভারতীয় বাহিনী। সাত পাক রেঞ্জার্সের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। খতম হয়েছে এক জঙ্গিও। পুঞ্চে অনুপ্রবেশের চেষ্ট ব্যর্থ করেছে ভারতীয় বাহিনী। এলাকায় ব্যাপক গুলিগোলা চলে, গোটা এলকায় চিরুনি তল্লাসি চালাচ্ছে সেনা।

রাজৌরির ভিম্বারগলি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপ্রান্ত থেকে দিন ভর গোলাগুলি চলছে। গোটা এলাকায় কড়া টহল চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। অশান্ত রাজৌরির মাঞ্জাকোট সেক্টরও। সীমান্ত এলাকায় গ্রামবাসীদের সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গত চার দিন ধরে অশান্ত বারামুলা। অনুপ্রবেশ রুখতে ব্যাপক নিরাপত্তা বাড়িয়েছে ভারতীয় বাহিনী। চলছে তল্লাসি।

টার্গেট একটাই- শীত পড়ার আগে নিজের দখল বাড়ানো। তবে প্রত্যক্ষ লড়াই না করে ব্যাক ডোরে ভারতে ঢুকতে চেষ্টা করছে পাকিস্তান। আর তাতে তারা কাজে লাগাচ্ছে জঙ্গিদের। সেইসঙ্গে বুরহান ওয়ানির আবেগকে কাজে লাগিয়ে জঙ্গিরা সাহায্য নিচ্ছে স্থানীয় মানুষদের।

তাদের ঢাল করে ভারতকে সমস্যায় ফেলাটাই ইসলামাবাদের টার্গেট। লক্ষ্য একটাই বরফ পড়র আগে নিজেদের দখল যতটা হোক বাড়িয়ে নেওয়া। কারণ সার্জিকাল স্ট্রাইকের কলঙ্ক মাথায় নিয়ে পদ ছাড়তে চাইছেন না পাক সেনা প্রধান।-জিনিউজ

২২ অক্টোবর,২০১৬/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/সবুজ/এসএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে