আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠল জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সাবেক সভাপতি জন অ্যাশের বিরুদ্ধে। চীনা ধনকুবেরের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিউ ইয়র্কের আইনজীবী জানিয়েছেন, জন অ্যাশকে জাতিসংঘের লাভজনক ব্যবসার জায়গায় পরিণত করেছিল। এনজি ল্যাপ সেং নামে ওই ব্যবসায়ীকে সরকারি কনট্রাক্ট পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ১৩ লক্ষ ডলার নিয়েছিলেন তিনি।
জন অ্যাশ অ্যান্টিগা ও বার্বুডার প্রতিনিধি হিসেবে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতিত্ব করেন। আর তখনি তিনি এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে জানা যায়। ঘুষ গ্রহণের জন্য অভিযুক্ত পাঁচজনের সঙ্গে অ্যাশকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ।
ওই টাকায় তিনি নিজের বিলাসব্যসনের জিনিসপত্র কিনেছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় স্তম্ভিত জাতিসংঘের সাধারণ সচিব বান-কি-মুন। কিভাবে জন অ্যাশের সৌজন্যে দিনের পর দিন নিজের সম্পত্তি বাড়িয়েছেন ওই চিনা ব্যবসায়ী তাও উল্লেখ করেছেন আইনজীবী।
বর্তমানে ম্যাকাওতে বসবাস করেন তিনি। তাদের মত ব্যবসায়ীদের সাহায্য করার জন্য কেনিয়ার সরকারের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন জন অ্যাশ। মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এনজি ল্যাপ সেং-সহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাটর্নি প্রিট ভারারাকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, “রোলেক্স ঘড়ি, একটি বাস্কেটবল কোর্ট আর দামি স্যুটের বিনিময়ে জন অ্যাশ নিজেকে এবং যে আন্তর্জাতিক সংস্থার তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাকে বিক্রি করে গেছেন।”
০৭ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/