আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারেদর রাজধানীর বুকে একের পর এক নারী নির্যাতর কার্যত প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে দিল্লির নিরাপত্তাকে। রাতের অন্ধকারে দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকায় মেয়েরা যে নিরাপদ নয় তা ফের প্রমাণিত। কিন্তু এবার মহিলাদের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে পার পায়নি নির্যাতনকারীরা। উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে নৃশংস এই অপরাধের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান আক্রান্ত দুই মহিলা। এমনকি অন্যান্য পথচারীদের সাহায্যে পুলিশের হাতে তুলে দেন অভিযুক্তদের।
ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার গুরুগ্রাম অঞ্চলে। সূত্রের খবর, আক্রান্ত দুই মহিলা একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় নিরাপত্তা কর্মী। এদিন রাতে তাঁরা অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বলেই জানা গিয়েছে। রাত হয়ে যাওয়ায় শেয়ার ট্যাক্সি ব্যবহার করেন তাঁরা। গাড়িতে উঠতেই তাঁরা লক্ষ করেন, চালক ছাড়াও আরেকজন ব্যক্তি রয়েছে গাড়িতে।
ওই দুই মহিলার অভিযোগ, গাড়ির চালক স্বাভাবিকের চেয়ে বেশ খানিকটা ধীর গতিতে গাড়ি চালানোয় তাঁরা গাড়ির গতি বাড়াতে অনুরোধ করেন। কিন্তু চালক তাঁদের কথা শোনেনি।
অভিযোগ, এরপরই একটি মেট্রো স্টেশনের সামনে গাড়ি থামিয়ে আচমকা পিছনের সিটে ওই দুই মহিলার সঙ্গে এসে বসে বিকাশ নামের ওই চালক। তার পাশে বসে থাকা আরেক যুবক তখন গাড়িটি চালাতে শুরু করে৷ সেই সময়ই দুজনের মধ্যে একজন মহিলার গায়ে হাত দেয় ওই অভিযুক্ত। বাধা দেওয়ায় বন্দুক দেখিয়ে সর্বস্ব লুট করে বিকাশ। কিন্তু নির্যাতন করার চেষ্টা করতেই উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে চালকের আসনে বসে থাকা পবনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন এক মহিলা। গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশে একটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে গাড়ি। সেই সুযোগে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন তাঁরা। সুযোগ বুঝে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বিকাশ। কিন্তু পবনকে পথচারীদের সাহায্যে পুলিশের হাতে তুলে দিতে সক্ষম হন তাঁরা।
পুলিশ সূত্রের খবর, পবনকে জেরা করে বিকাশকেও গ্রেফতার করে পুলিশ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের ও চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছে। -সংবাদ প্রতিদিন।
২৪ অক্টোবর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম