আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বলা সত্ত্বেও ‘গোল রুটি’ না বানানোয় ১২ বছরের মেয়েকে হত্যায় দোষী সাব্যস্ত করে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিলো পাকিস্তানের আদালত। খালিদ মেহমুদ নামে ওই ব্যক্তি মেয়েকে খুন করে হাসপাতালের বাইরে তার দেহটি ফেলে দিয়ে চলে গিয়েছিলেন।
এমন একটি লোককে ক্ষমা করার প্রশ্নই ওঠে না যিনি, তুচ্ছ একটা কারণে নিজের মেয়েকে খুন করতে পারেন, জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক আসগর খান। খালিদের ৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও হয়েছে।
সরকার পক্ষের বক্তব্য, দোষী বাবা মেয়েকে মেরে নিজেই এফআইআর দাখিল করে জানিয়েছিলেন, খাবার কিনতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে মেয়ে ফেরেনি, তাকে হয়তো অপহরণ করা হয়েছে। তদন্তে নেমে শাদবাগ পুলিশ জানতে পারে, মেয়ো হাসপাতালের বাইরে পড়ে থাকা মৃত মেয়েটিকে তার বাবাই খুন করেছে সে গোল রুটি না তৈরি করায়।
দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন-এর খবর, প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই পুলিশ মেয়েটির বাবা ও তার ভাই আবুজারকে গ্রেফতার করে। জেরার মুখে তারা অপরাধ কবুল করে। তারাই ওকে এমন মারধর করেছিল যে, মারের চোটে সে মারাই যায়। তারপর তারাই দেহটি ফেলে দিয়ে মিথ্যা এফআইআর রুজু করেছিল।
‘ডন নিউজ’-এর খবর, এক পুলিশ অফিসার বলেছেন, বাপ-ছেলের গ্রেফতারির সময় খালিদ দুজনেই কান্নার অভিনয় করছিল পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্য। কিন্তু মেয়েটির মা-ই ফাঁস করে দিন, কী নির্দয় ভাবে মেয়েকে মেরেছিল দুজনে মিলে। এবিপি।
২৫ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি