আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মাসুদ আজহারের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত নানা ইস্যুতে চীনা জিনিসপত্র বয়কটের ডাক দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। তথ্য জানাচ্ছে, এর ফলে ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চীনা জিনিসপত্রের বিশাল বাজার। আর স্বাভাবিকভাবেই এই বয়কট ভাল চোখে দেখছে না বেজিং। তারা হুমকি দিয়েছে, এভাবে বয়কট চললে দু’দেশের সম্পর্কে তার প্রভাব পড়বে, কমবে বিনিয়োগের পরিমাণও।
দিল্লিতে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি লিয়ান মন্তব্য করেছেন, এই বয়কটের ফলে চীনা কোম্পানিগুলি ভারতে বিনিয়োগ করতে নাও চাইতে পারে, প্রভাব পড়তে পারে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। ভারত-চীন দু’দেশের মানুষই তা নিশ্চয় চাইবেন না। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতই চীনের সবথেকে বড় বাণিজ্যিক সঙ্গী, চীনা জিনিসপত্রে ভরে গেছে ভারতের বাজার। যদিও ভারতের দিক থেকে চীনে রফতানির পরিমাণ তুলনায় নেহাতই নগণ্য।
চীন-পাকিস্তান ঘনিষ্ঠতার প্রতিবাদে বেশ কয়েকটি গোষ্ঠী চীনা জিনিসপত্র বয়কটের ডাক দিয়েছে। দীপাবলীর বাজারে চীনা বাজি ও আলোকসজ্জার বিরাট বাজার ভালরকম মার খেয়েছে তাতে। যদিও এই বয়কট একেবারেই ব্যক্তিগত স্তরে, তাতে কোনও সরকারি সিলমোহর পড়েনি।
তবে চীনের মতে, এই বয়কটে চীনের যত না ক্ষতি, তার থেকে বেশি ক্ষতি ভারতের। তাদের আশঙ্কা, শুধু দীপাবলীর জিনিপত্রেই বয়কট সীমাবদ্ধ থাকবে না, তা পরেও চলবে। কিন্তু চিনা জিনিসের কোনও বিকল্প ভারতের বাজারে না থাকায় ভারতীয় ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়বেন বলে তারা মনে করছে। -এবিপি আনন্দ।
২৭ অক্টোবর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম