আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের রাজধানী দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেলে আগত দুই যাত্রীকে গত সপ্তাহে আটক করে পুলিশ। তল্লাশি করা হয় তাদের সঙ্গে থাকে লাগেজের। তল্লাশির সময়ে পুলিশ লক্ষ্য করেন দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন আঁকড়ে ধরে রেখেছেন তার হাতের পাওয়ার ব্যাংকটি। সেটি তার হাত নিয়ে দেখা যায়, সাধারণ পাওয়ার ব্যাংকের থেকে সেটি ওজনে বেশ ভারী। সন্দেহ হওয়ায় পাওয়ার ব্যাংকটি খুলে দেখায় তার ভিতরে পাওয়া যায় ৪৯৩টি হীরা, সবই অসমান।
হীরাগুলো নিয়ে আসা হয়েছিল কঙ্গো থেকে। দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন ছিলেন সুরাতের হীরা ব্যবসায়ী এবং একজন পেশাদার স্মাগলার। এগুলির কোনো বৈধ নথি ছিল না, ছিল না কিমবার্লি প্রসেস সার্টিফিকেশন।
ডেপুটি কমিশনার করণ থাপারের নেতৃত্বে ৪৯৩টি হীরা বাজেয়াপ্ত করে কাস্টমস বিভাগ। মুম্বইয়ের এক মণিকার এই হীরাগুলোর ভ্যালুয়েশন করবেন বলে জানানো হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে আটক এক ব্যক্তি স্বীকার করে নিয়েছে যে সে আগেও হীরের চোরাকারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এবং এবারেও সে সুরাতের ওই ব্যবসায়ীকে সাহায্য করছিল। তাদের কাছে কোনো বৈধ নথি নেই। এর থেকেই অনুমান করা হচ্ছে হীরাগুলো কুখ্যাত ব্লাড ডায়মন্ড।
২৭ অক্টোবর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম