আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের কোয়েটায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ব্যাপক সংখ্যক প্রাণহানির ঘটনায় নাগরিক জীবন ও সম্পদ রক্ষার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার কারণে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছে জামায়াতে ইসলামী।
বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পাকিস্তান জামায়াতের আমির ও সিনেটর সিরাজুল হক এ দাবি জানান বলে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ডন অনলাইন।
গত ২৫ অক্টোবর কোয়েটার একটি পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ৬১ জন নিহত এবং বহু আহত হয়।
বৃহস্পতিবার কোয়েটা সরকারি হাসপাতালে আহতদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেয়ার পর কোয়েটা প্রেসক্লাবে গিয়ে এ দাবি জানান পাক জামায়াত আমির।
তিনি অভিযোগ করেন, পাকিস্তানের শত্রুরা বেলুচিস্তানকে অস্থিতিশীল করার মতলবে সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে।
র' এজেন্ট কুলভূষণ যাদবকে গ্রেফতার এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্তব্য করার পর বেলুচিস্তানের ব্যাপারে বিশেষ মনযোগ দিতেও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
জামায়াত আমির বলেন, বেলুচিস্তানকে সিরিয়া-ইরাকে পরিণত হওয়া থেকে রক্ষা করতে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত বেলুচ নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে এমন কর্মকৌশল প্রণয়ন করা যাতে সন্ত্রাস দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায়।
তিনি অভিযোগ করেন, শাসকরা জনগণকে সন্ত্রাসীদের দয়ায় বেঁচে থাকার দুর্দশার মধ্যে ঠেলে দিয়ে নিজেরা পুলিশ বেষ্টিত সুরক্ষিত প্রাসাদে আশ্রয় নিয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের উচিত নৈতিক সাহস দেখানো এবং যে জনগণের ভোটে তারা ক্ষমতা অর্জন করতে পেরেছে সেই জনগণের জীবন ও সম্পদ রক্ষা করতে না পারার ব্যর্থতার জন্য পদত্যাগ করা।
জঙ্গিরা গত আগস্টে কোয়েটার সরকারি হাসপাতালে এবং চলতি মাসে কোয়েটা পুলিশ প্রশিক্ষণ কলেজে হামলা চালিয়েছে জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, যদি হাসপাতালে হামলার সঙ্গে জড়িত দুর্বৃত্তরা গ্রেফতার হতো তবে পুলিশের কলেজে হামলার ঘটনা ঘটতো না।
২৫ অক্টোবরের হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এবং সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরিফ কোয়েটা পরিদর্শন করায় প্রশংসা করেন সিরাজুল হক। তবে তারা সেখানে অবস্থান করে সন্ত্রাস দমনে জাতীয় পরিকল্পনার যথার্থতা খতিয়ে দেখা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জামায়াত প্রধান নিহত পুলিশ সদস্যদের লাশ তাদের গ্রামের বাড়িতে পাঠাতে গণপরিবহণ ব্যবহার করার কঠোর সমালোচনা করেন। দেশরক্ষায় নিয়োজিতদের লাশের প্রতি একে অবমাননা বলেও আখ্যা দেন তিনি।
তিনি বলেন, শাসকরা সব সময় হেলিকপ্টারে চলাচল করলেও নিহত পুলিশ সদস্যদের লাশ গণপরিবহণের মাধ্যমে তাদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
জামায়াত আমির অবিলম্বে গুরুতর আহত পুলিশ সদস্যদের জীবন রক্ষায় তাদের অবিলম্বে করাচি হাসপাতালে স্থানান্তরের আহ্বান জানান। -যুগান্তর।
২৮ অক্টোবর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম