রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৬, ১০:৫৭:০৩

ইমেইল তদন্ত নিয়ে হিলারির তোপের মুখে এফবিআই

ইমেইল তদন্ত নিয়ে হিলারির তোপের মুখে এফবিআই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহারের বিষয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করার সিদ্ধান্তকে তীব্র সমালোচনা করেছেন হিলারি।

২০১৫ সালে প্রথম এই অভিযোগটি উঠলেও, তখন তদন্তের পর গুরুতর কিছু পাওয়া যায়নি বলে এফবিআই জানিয়েছিল। এ কারণে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না আনার সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।

নির্বাচনের যখন মাত্র ১১ দিন বাকি, তখন এ বিষয়ে নতুন করে তদন্তের সিদ্ধান্তের কথা চিঠি দিয়ে মার্কিন কংগ্রেসকে জানায় এফবিআই। এতে নির্বাচনে নিজেদের দৃঢ় অবস্থান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছে হিলারি শিবির। তাই এফবিআই-এর সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করছে তারা।   

ফ্লোরিডায় এক নির্বাচনি প্রচারণায় হিলারি বলেছেন, নির্বাচনের দুই সপ্তাহের কম সময় আগে এফবিআই-এর এই তদন্তের ঘোষণা ‘নজিরবিহীন’ ও ‘গভীর সমস্যাপূর্ণ’।

হিলারি বলেন, ‘বিষয়টি খুবই অদ্ভূত, তা একইসঙ্গে নজিরবিহীনও। আর তাতে ভোটাররা বিভ্রান্ত হতে পারেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা গভীর সমস্যাপূর্ণ, কারণ ভোটাররা সবটুকু জানার অধিকার রাখে। তাই আমরা দাবি করছি, তিনি (কোমি) জনগণকে পুরো বিষয়টা জানান।’

তবে এফবিআই পরিচালক জেমস কোমির দাবি, নতুন এই তদন্তের বিষয়ে জানানোটা তিনি নৈতিকতা বোধ থেকে করছেন। তিনি আরও বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে আমি ভুল পথে পরিচালিত করতে চাই না।’

এর আগে জেমস কোমি জানিয়েছিলেন, ‘তদন্তকারীরা হিলারির মেইলগুলোতে কোনও বিশেষ তথ্য আছে বা কোনও বিশেষ বার্তা বহন করে কিনা, তারা তা খতিয়ে দেখছেন। এফবিআই ইতোমধ্যে ডেমোক্রাট প্রার্থীর ব্যক্তিগত ইমেইল সার্ভারে বেশ কিছু স্পর্শকাতর তথ্য পেয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আবেদিন ও ওয়েনারের কাছ থেকে এফবিআই একটি ডিভাইস আটক করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে ওয়েনার নর্থ ক্যারোলিনার এক ১৫ বছর বয়সী কিশোরীর কাছে যৌন হয়রানীমূলক বার্তা পাঠিয়েছেন।’

তবে জুলাইয়ে কোমি জানিয়েছিলেন, ‘২০০৯-১৩ মেয়াদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন হিলারি ক্লিনটন অসতর্কভাবে বেশ কিছু গোপন তথ্য আদান প্রদান করেন। যা অপরাধমূলক কাজ। মূলত ফেডারেলের আইন ভঙ্গ করে নিজের ইমেইল সার্ভার ব্যবহার করে হিলারি এসব কাজ করেছিলেন।’

এদিকে, এই নতুন তদন্তকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা নতুন পরিস্থিতিকে পুরোপুরি কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প শিবির।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর পর থেকেই এই বিষয়টিকে হিলারির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ বা অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছেন তার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বীরা। প্রেসিডেন্ট পদের জন্য এটি ‘দায়িত্বহীন আচরণ’ বলেও দাবি করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শনিবার কলোরাডোতে এক নির্বাচনি সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, ‘মার্কিন রাজনীতির ইতিহাসের ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির পরেই হিলারির ইমেইলের বিষয়টি সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক কেলেঙ্কারি।’

তিনি আরও বলেন, ‘হিলারির ব্যক্তিগত ইমেইল সার্ভার ব্যবহার করাটা ইচ্ছাকৃত, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’ -বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান।
৩০ অক্টোবর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে