আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের ভোপালে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আট মুসলিম ছাত্রনেতার মৃত্যুর ঘটনা নতুন মোড় নিচ্ছে। সর্বশেষ একটি অডিও টেপ ফাঁস হওয়ার পর সমালোচনার আগুনে নতুন করে যেন ঘি পড়েছে। ওই অডিও টেপ শুনে ধারণা করা হচ্ছে, পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকেই ছাত্রনেতাদের হত্যার নির্দেশনা দেয়া হয়।
এ ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ আরও পাকাপোক্তভাবে উঠেছে। তবে অডিও টেপটির গ্রহণযোগ্যতা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
ওই অডিও টেপে শোনা গেছে, সবাইকে হত্যা কর বলে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। এর উত্তরে বলা হচ্ছে, পাঁচজনকে মেরে ফেলা হয়েছে। কিছুক্ষণ পরই কন্ট্রোলরুমকে জানানো হয়, আটজনকেই মেরে ফেলা হয়েছে।
তখনই পুলিশ সদস্যরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। একপক্ষ অপরপক্ষকে ধন্যবাদও জানান। আর কন্ট্রোলরুম থেকে বলা হয়, অবস্থা নিয়ন্ত্রণে দ্রুতই অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে।
নয় মিনিটের ওই অডিও টেপটি কন্ট্রোল রুম থেকেই ধারণ করা হয়েছে এবং এ ঘটনার কোন নীরব সাক্ষী তা ফাঁস করে দেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত রবিবার গভীর রাতে ভোপালের কেন্দ্রীয় কারাগারে এক কারারক্ষীকে হত্যা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত মুসলিম ছাত্রসংগঠন স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়া- সিমির ওই আট সদস্য পালিয়ে যান বলে দাবি করে পুলিশ। সোমবার সকালেই ভোপালের অদূরে ইতখেড়ি গ্রামের কাছে মালিখেড়া নামক স্থানে পুলিশ ও এন্টি-টেররিজম স্কোয়াডের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পলাতক সিমি সদস্যরা নিহত হন বলে জানায় পুলিশ।
এ ঘটনার পর মমতা ব্যানার্জি এটাকে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে তোপ দাগেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
০৪ নভেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম