 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কালো টাকা বাতিলের নামে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল ভারতের সবথেকে বড় দুর্নীতি? সংসদে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করল কংগ্রেস। রাজ্যসভার অধিবেশনে এদিন এমনই দাবি করলেন কংগ্রেস সাংসদ এবং সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা।
এদিন নোট বাতিল নিয়ে আলোচনায় নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের গোপনীয়তা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তোলেন আনন্দ শর্মা। তাঁর প্রশ্ন, ‘গাজিপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভার টাকা কোথা থেকে এল? চেকে পেমেন্ট করা হয়েছিল, নাকি কেউ দিয়েছিল? কর্নাটকে ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে বিজেপি নেতার মেয়ের বিয়ে হচ্ছে, সেখানে বিজেপি-র নেতারা যোগ দিচ্ছেন।’
এর পরেই বিজেপির বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন আনন্দ শর্মা। তিনি বলেন, ‘মার্চ মাস থেকে স্টেট ব্যাঙ্ক জানত যে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল হতে চলেছে। একটি সংবাদপত্রের রিপোর্টে তাই দাবি করা হয়েছে। স্টেট ব্যাঙ্ক তাহলে এটিএমগুলিকে সেই অনুযায়ী প্রস্তুত করেনি কেন? এপ্রিল মাসে গুজরাতের সংবাদপত্রে নোট বাতিলের খবর প্রকাশিত হয়ে গেল। বড় সিদ্ধান্ত নিতে গেলে গোপনীয়তা রাখতে হয়। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত বেছে বেছে নির্দিষ্ট কয়েকজনকে ফাঁস করা হয়েছিল।
বিজেপির বিভিন্ন ইউনিট গত কয়েক মাসে ব্যাঙ্কে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা করেছে। সরকার জবাব দিক, তদন্ত করা হোক। এপ্রিল মাসে গুজরাতের সংবাদপত্রে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের খবর প্রকাশের পরে কত লোক বিদেশি মুদ্রা কিনেছে, কোটি টাকার বেশি সোনা কিনেছে, এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের কত টাকা বাইরে গিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হোক, সেই তালিকা প্রকাশ করা হোক। তদন্ত শেষ হলে দেখা যাবে, কালো টাকা আটকানোর নামে দেশের সব থেকে বড় দুর্নীতিটা হয়েছে।’
বিজেপি-র হয়ে জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীয়ুস গোয়েল। তিনি বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তে সৎ মানুষকে সম্মান দেওয়া হয়েছে। বেইমানদের ক্ষতি হয়েছে। কষ্ট সহ্য করেও ভারতের অধিকাংশ মানুষ নরেন্দ্র মোদীকে সমর্থন করেছেন। -এবেলা।
১৬ নভেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম