আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আবারো রক্তাক্ত যুক্তরাষ্ট্রের দুই বিশ্ববিদ্যালয়। যুক্তরাষ্ট্রে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গুলিবর্ষণের ঘটনায় উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা।
গুলিবর্ষণের প্রথম ঘটনাটি ঘটে নর্দান অ্যারিজোনা ইউনিভার্সিটিতে। এতে একজন নিহত ও তিনজন আহত হন। এ ঘটনার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই টেক্সাস সাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন নিহত হন।
অ্যারিজোনার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে একজনকে সনাক্ত করেছে পুলিশ। স্টিভেন জোনস নামে ১৮ বছরের এক শিক্ষার্থীকে দায়ী করেছে পুলিশ। সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে জোনসের একটি ছবিও পেয়েছে তারা।
মাত্র কয়েকদিন আগে ওরেগন বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুকধারীর হামলায় ১২ জন নিহতের ঘটনায় শোক কাটতে না কাটতেই আবারো রক্তাক্ত হলো দুটি মার্কিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ওরেগনে নিহত ও আহতদের স্বজনদের সমবেদনা জানাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সফরের খবরের মধ্যেই আবারো শিক্ষাঙ্গনে গুলি চলে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল-কলেজে রক্তাক্তের সর্বশেষ ঘটনা ওরেগন হত্যাকাণ্ড। ২০১২ সালের স্যান্ডি হুক হত্যাকাণ্ডের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট ১৪২ বার গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
এ তথ্য প্রকাশ করেছে ‘ম্যাস শুটিং ট্রাকার’। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৫ সালে নির্বিচারে গুলি চালানোর ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে। এ বছরের ২৭৪ দিনে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ২৯৪ বার এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট। এসব হামলার মধ্যে ৪৫টি সংঘটিত হয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
হত্যাকাণ্ডের পর মার্কিন গণমাধ্যমের কাছে হোয়াইট হাউস সেক্রেটারি জশ আর্নেস্ট জানান, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে ওবামা প্রশাসন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে বিষয়টিকে আইনি ভিত্তি দিতে সাধারণ মার্কিনীদের সমর্থন প্রয়োজন হলেও তাতে কাঙ্ক্ষিত সাড়া মেলেনি।
১০ অক্টোবর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম