আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ায় রাশিয়ার বিমান বাহিনীর হামলায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দুই সিনিয়র কমান্ডারসহ তিন শতাধিক জঙ্গি নিহত হয়েছে। জঙ্গিদের বেশ কিছু স্থাপনা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ অনেক আস্তনাই ধ্বংস হয়ে গেছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এই দাবি করেন।
রাশিয়ান বিমানবাহিনী গত বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ৬৭ টি হামলা চালিয়েছে। ৬০ টি পৃথক স্থানে চালানো এই হামলায় ৩০০ ইসলামিক স্টেটস জঙ্গি ও দুইজন সিনিয়র কমান্ডার নিহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন রাশিয়ান সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ ইগর মাকুশেভ।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সিরিয়ার রাকা, লাতাকিয়া, ইদলিব, আলেপ্পো এবং হামাসহ বিভিন্ন এলাকায় আইএসের প্রায় ৬০টি স্থাপনাকে লক্ষ্য করে ৬৭টি বিমান হামলা চালায়। রাশিয়ার আক্রমণের লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ছিল যোগাযোগের কেন্দ্র, কমান্ড পোস্ট, জ্বালানি সংরক্ষণাগার ও সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো।
মাকুশেভ বলেন, লিওয়া-আল-হক নামে একটি জঙ্গি সংগঠনের হেডকোয়ার্টার লক্ষ্য করে রুশ বিমান হামলা চালানো হলে ওই স্থাপনাটি ধ্বংস হয়ে যায়। আমরা ড্রোনের ধারণকৃত ফুটেজ দেখে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। এই হামলায় সংগঠনটির দুই কমান্ডারসহ ২০০ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, একইসময়ে আলেপ্পোর কাছে সুখই যুদ্ধবিমানের হামলায় আরও ১০০ জঙ্গি নিহত হয়। এখানকার হামলায় জঙ্গি সংগঠনগুলোর ছয়টি যোগাযোগ কেন্দ্র, ছয়টি অস্ত্রাগার, ১৭টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ১৭টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস হয়ে যায়।
গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে ইরাক ও সিরিয়ার কিছু অঞ্চল দখলে নিয়ে খেলাফত ঘোষণা করে আইএস। এরপর জঙ্গিরা বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে গলা কেটে ও আগুনে পুড়িয়ে মারতে শুরু করলে তাদের বর্বরতার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। এই প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমারা আইএস দমনে বিমান হামলা শুরু করে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতায় ধরে রাখতে আইএস নির্মূলে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিমান হামলা শুরু করে রাশিয়াও। ৪ অক্টোবর থেকে হামলা জোরদারের ঘোষণা দেয় মস্কো।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের পর থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় অন্তত আড়াই লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া গৃহহীন হয়ে পড়েছে সিরিয়ার কয়েক লাখ মানুষ।
১০ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/