আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘ বলছে, অবরোধের মধ্যে থাকা সিরিয় মানুষের সংখ্যা গত ছয় মাসে প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে প্রায় ১০ লাখে পরিণত হয়েছে। এমনকি এই মানুষদের একটি বিশাল অংশ সরকারী বাহিনীর দ্বারা অবরুদ্ধ যারা খাদ্য পাচ্ছে না, তাদের ওপর বোমা হামলা চলছে এবং তারা চিকিৎসার কোন সুযোগও পাচ্ছে না।
জাতিসংঘের ত্রাণ বিভাগের প্রধান স্টিফেন ও ব্রায়ান বলছেন, বেসামরিক মানুষের ওপর হামলা বন্ধে এবং মানবিক সাহায্য পৌছে দেয়ার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত। এর আগে নেয়া বিভিন্ন প্রস্তাব আটকে দিয়েছিল সিরিয়ার মিত্র, রাশিয়া।
নতুন করে অবরুদ্ধ এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত দামেস্কের উপকণ্ঠে জোবার, হাজার, আল আসওয়াদ এবং খান আল শিহ এলাকা।
স্টিফেন ও ব্রায়ান বলেন, গত কয়েকদিনের আলেপ্পোর পূর্বাঞ্চলে বোমা হামলায় কয়েক'শ বেসামরিক নাগরিক মারা গেছেন এবং অনেকে আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, 'বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নিষ্ঠুর কৌশলের' অধিকাংশই গ্রহণ করছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনী।
এদিকে সিরিয়ায় দ্রুত বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুর ওপর হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত, সামান্থা পাওয়ার। তিনি বলেন, রুশ এবং সিরিয় বাহিনী আলেপ্পোর পূর্বাঞ্চলে 'অমানবিক প্রতিবন্ধকতা' তৈরি করে ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে।
তবে জাতিসংঘে সিরিয়ার রাষ্ট্রদূত, বাশার আল জাফরি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ১৩ জন সিরিয় সেনা কমান্ডারের নাম ঘোষণা করেছে যারা বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা এবং তাদের ওপর হামলার সাথে যুক্ত ছিল।
জাতিসংঘের ত্রাণ বিভাগের প্রধান বলছেন, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এখন আর চিকিৎসার কোন সুবিধা নেই বললেই চলে।
এমাসেই রোববার পর্যন্ত পশ্চিম আলেপ্পোতে অন্তত ৩৫০ টি মর্টার এবং রকেট হামলা চালানো হয়েছে, যাতে ৬০ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
রোববারেই সরকার নিয়ন্ত্রিত একটি এলাকার স্কুলে বোমা হামলা চালানো হয়, যেখানে আটটি শিশু নিহত হয়।
২২ নভেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর