আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কন্যাসন্তানের সুরক্ষায় নরেন্দ্র মোদি যখন 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও' স্লোগানে গুরুত্ব দিচ্ছেন, তখন দিল্লি থেকে কয়েক'শো কিলোমিটার দূরে আগ্রায় এক বধূর মাথা মুড়িয়ে 'শাস্তি' দিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। 'অপরাধ' ওই বধূ দ্বিতীয় বারও কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন, ভাবা যায়! অত্যাচারের এখানেই শেষ নয়। একই কারণে ওই বধূকে শারীরিক নির্যাতনও মুখ বুজে সহ্য করতে হয়েছে। খবর ইন্ডিয়া টাইমসের।
সীমাহীন অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে, শেষমেশ অবশ্য শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে থানায় মুখ খুলেছেন ওই বধূ। দ্বিতীয় বার কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ায় যে লাঞ্ছনা-গঞ্জনা সহ্য করতে হয়েছে, তার উল্লেখ করে স্থানীয় মালপুরা থানায় লিখিত ভাবে তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্বামী, শাশুড়ি কাউকেই রেহাই দেননি।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, নান্নু নামে ওই যুবতীর সঙ্গে সাত বছর আগে বিয়ে হয় টোম্পো চালক রশিদের। চার বছর আগে তাদের একটি মেয়েও হয়। চলতি নভেম্বরে দ্বিতীয় সন্তানের মা হন নান্নু। এ বারও তিনি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন।
পুলিশের কাছে অভিযোগে ওই বধূ জানান, দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর থেকেই আমার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু হয়েছে। আমার মাথাও নেড়া করে দেওয়া হয়েছে। স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সবাই এই ঘটনায় জড়িত।
নান্নুর ভাবি পরভীন বানু জানান, ২৭ নভেম্বর ওকে মাথা নেড়া করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। মাত্র তেরো দিনের বাচ্চা দুধের জন্য কাঁদলেও, ওকে বাচ্চার কাছে যেতে দেওয়া হয়নি। সোমবার বাধ্য হয়ে বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন। এরপরই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
৩০ নভেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি